কেন দক্ষিণ আফ্রিকা?
দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চমানের ও সাশ্রয়ী শিক্ষার একটি উদীয়মান গন্তব্য, যেখানে ইসলামী মূল্যবোধ ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার একটি অনন্য সংমিশ্রণ বিদ্যমান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলামিক স্টাডিজ, শরিয়া, উসুলুদ্দিন, আরবি ভাষা এবং অন্যান্য মানবিক ও আধুনিক বিষয়ে শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। ইংরেজিভাষী এই দেশে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি ভাষাগত ও পেশাগত দক্ষতা গড়ে তুলতে পারে।
টিউশন ফি তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী এবং জীবনযাত্রার ব্যয় অন্যান্য অনেক পশ্চিমা দেশের তুলনায় কম, যা সীমিত বাজেটের শিক্ষার্থীদের জন্য এই দেশকে একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প করে তোলে। দক্ষিণ আফ্রিকার সমাজ বৈচিত্র্যময় এবং ইসলামী সংস্কৃতির প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ায় মুসলিম শিক্ষার্থীরা এখানে সহজেই মানিয়ে নিতে পারে।
আধুনিক ক্যাম্পাস, গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা ও ধর্মীয় সহনশীলতা দক্ষিণ আফ্রিকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ থাকায় এখান থেকে ভবিষ্যতে ইসলামী শিক্ষা, গবেষণা বা দাওয়াহ ভিত্তিক কাজের জন্যও বিস্তৃত সুযোগ তৈরি হয়। পড়াশোনা শেষে কর্মসংস্থান, স্কলারশিপের মাধ্যমে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন, বা দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের মতো সুযোগও রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় শিক্ষা গ্রহণ বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন ও কর্মমুখী ভবিষ্যতের দ্বার উন্মুক্ত করে।

- পড়াশোনা করুন
দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকার শিক্ষাক্রমসমূহ
বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় শিক্ষাগত প্রোগ্রামসমূহ:
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা
দক্ষিণ আফ্রিকায় সরকারি, বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক স্কুলের সুযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক স্কুলগুলো সাধারণত ব্রিটিশ, আমেরিকান বা দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় কারিকুলাম অনুসরণ করে এবং বড় শহরগুলো যেমন কেপ টাউন, জোহানেসবার্গ, ডারবান ইত্যাদিতে অবস্থিত। সরকারি স্কুলগুলো স্থানীয়দের জন্য মূলত বিনামূল্যে এবং প্রধানত ইংরেজি বা আফ্রিকান ভাষায় পড়ানো হয়। আন্তর্জাতিক স্কুলগুলোতে টিউশন ফি দিতে হয় এবং সেখানে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও সহায়ক ব্যবস্থা থাকে।
ডিপ্লোমা ও কারিগরি প্রশিক্ষণ
দক্ষিণ আফ্রিকায় বিভিন্ন কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, তথ্য প্রযুক্তি, কৃষি, পর্যটন, স্বাস্থ্যসেবা এবং ব্যবসায় দক্ষতা-ভিত্তিক ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম পাওয়া যায়। এই প্রোগ্রামগুলো সাধারণত ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো হয় এবং দক্ষ শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে সহায়ক।
ব্যাচেলর ডিগ্রি
দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেমন ইউনিভার্সিটি অব কেপ টাউন, ইউনিভার্সিটি অব উইটওয়াটারস্র্যান্ড, এবং ইউনিভার্সিটি অব স্টেলেনবোস বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করে। জনপ্রিয় বিষয়গুলো হলো ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসা প্রশাসন, আইন, কম্পিউটার সায়েন্স, সমাজবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। অধিকাংশ প্রোগ্রাম ইংরেজি ভাষায় অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিক্ষা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও সার্টিফায়েড।
মাস্টার্স ডিগ্রি
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাস্টার্স প্রোগ্রাম পাওয়া যায়, যেখানে জনপ্রিয় বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পরিবেশ বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি, এবং ব্যবসায়। মাস্টার্স ডিগ্রি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত এবং ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার অনেক দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
পিএইচডি প্রোগ্রাম
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পিএইচডি পর্যায়ের গবেষণা-ভিত্তিক প্রোগ্রাম রয়েছে। বিষয়গুলোর মধ্যে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সমাজবিজ্ঞান, মানববিদ্যা এবং ইসলামিক স্টাডিজ অন্তর্ভুক্ত। কিছু পিএইচডি প্রোগ্রামে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও যৌথ গবেষণার সুযোগও থাকে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি বা বেসরকারি বৃত্তি এবং গবেষণা তহবিলের ব্যবস্থা রয়েছে।

- পড়াশোনা করুন
দক্ষিণ আফ্রিকা
ধাপে ধাপে নির্দেশিকা
ধাপ ১: বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রাম অনুসন্ধান করুন
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইসলামিক স্টাডিজ, উসূলুদ্দীন, শরিয়াহ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, সমাজবিজ্ঞান, শিক্ষাবিদ্যা ইত্যাদি বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেয়। কিছু প্রতিষ্ঠানে ইংরেজির পাশাপাশি আরবি ভাষায়ও প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক আগ্রহ, ভাষার দক্ষতা ও ক্যারিয়ার লক্ষ্য অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে পারেন।
ধাপ ২: যোগ্যতার শর্তাবলী পরীক্ষা করুন
বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে একাডেমিক যোগ্যতার মানদণ্ড ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আলিম/ফাযিল অথবা সমমানের সনদ প্রয়োজন হয়। ইংরেজি মাধ্যমের প্রোগ্রামের জন্য IELTS বা TOEFL স্কোর প্রয়োজন হতে পারে। ইসলামিক স্টাডিজভিত্তিক প্রোগ্রামে আরবি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ চাওয়া হতে পারে।
ধাপ ৩: আবেদন প্রস্তুত ও জমা দিন
নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। আবেদনের সাথে প্রয়োজন হয়:
একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সনদপত্র
পাসপোর্টের কপি
প্রেরণাপত্র (Statement of Purpose)
সুপারিশপত্র (Recommendation Letter)
ভাষার দক্ষতার সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়)
সিভি/রিজিউমে
ধাপ ৪: বৃত্তি ও অর্থায়ন সুযোগ অনুসন্ধান করুন
দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সুযোগ দেয়, বিশেষ করে ইসলামিক স্টাডিজ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে। এছাড়া OIC, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (IsDB), বা WAMY-এর মতো সংস্থাগুলোর বৃত্তি প্রোগ্রামের আওতায় আবেদন করা যেতে পারে। কিছু ইসলামিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বা আংশিক ফান্ডিং সরবরাহ করে থাকে।
ধাপ ৫: ভর্তি অফার প্রাপ্তি ও নিশ্চিতকরণ
আবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অফার লেটার পেলে তা স্বীকার করতে হবে। কখনো কখনো অ্যাডমিশন ফি প্রদান করতে হতে পারে।
ধাপ ৬: স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করুন
ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকমিশনে আবেদন করা যায়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার
পাসপোর্ট
ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা স্কলারশিপ প্রমাণ
মেডিকেল সার্টিফিকেট
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
হোস্টেল বা থাকার ঠিকানার প্রমাণ
স্বাস্থ্য বীমা
ধাপ ৭: থাকার ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য বীমা করুন
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সুবিধা অথবা বেসরকারি ভাড়া নিয়ে থাকা যায়। দক্ষিণ আফ্রিকায় বৈধ থাকার জন্য অনুমোদিত স্বাস্থ্য বীমা কিনে রাখা আবশ্যক।
ধাপ ৮: ভ্রমণের প্রস্তুতি ও আগমন
ভিসা পাওয়ার পর ফ্লাইট বুক করুন এবং ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র প্রস্তুত রাখুন। আগমনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করুন এবং স্থানীয় আইন ও নিরাপত্তাবিধি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।

- পড়াশোনা করুন
দক্ষিণ আফ্রিকা
বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় গড় শিক্ষাবর্ষিক টিউশন ফি (২০২৫):
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় (আন্তর্জাতিক স্কুলসমূহ)
বছরে প্রায় ZAR 40,000 – ZAR 150,000
দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক স্কুলগুলো ব্রিটিশ, আমেরিকান, বা IB কারিকুলাম অনুসরণ করে (যেমন International School of Cape Town, American International School of Johannesburg)। সরকারি স্কুলগুলো বাসিন্দাদের জন্য অপেক্ষাকৃত কম খরচে শিক্ষা প্রদান করে, তবে অনেক স্কুলে ইংরেজির পাশাপাশি আফ্রিকান্স বা অন্যান্য স্থানীয় ভাষাও ব্যবহৃত হয়।
স্নাতক ডিগ্রী (সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ)
বছরে প্রায় ZAR 25,000 – ZAR 60,000
South African public universities যেমন University of Cape Town (UCT), University of the Witwatersrand (Wits), এবং University of KwaZulu-Natal (UKZN) আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদান করে। টিউশন ফি বিষয়ভেদে পরিবর্তিত হয়। ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং বিজ্ঞান বিষয়ে ভালো সুযোগ আছে।
মাস্টার্স ডিগ্রী (সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ)
বছরে প্রায় ZAR 30,000 – ZAR 80,000
মাস্টার্স পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের গবেষণামূলক ও পেশাগত (professional coursework) প্রোগ্রামের মধ্যে বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে। ইসলামি শিক্ষার পাশাপাশি পাবলিক হেলথ, আইন, ইঞ্জিনিয়ারিং, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজসহ অনেক ক্ষেত্রে ইংরেজি মাধ্যমে প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।
পিএইচডি প্রোগ্রাম (সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ)
বছরে প্রায় ZAR 20,000 – ZAR 70,000
গবেষণামূলক এই প্রোগ্রামগুলোতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সরকারি বা বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ড থেকে বৃত্তি বা রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ পেতে পারে। ইসলামি চিন্তাধারা, ফিকহ, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞানসহ মাদ্রাসা পটভূমির শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী বিষয় রয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় / ইসলামিক ইনস্টিটিউটসমূহ (সব স্তর)
বছরে প্রায় ZAR 40,000 – ZAR 120,000+
ISLAMIC INSTITUTE OF SOUTH AFRICA, Darul Uloom Zakariyya, এবং International Peace College South Africa (IPSA) এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ইসলামী শিক্ষা, আরবি ভাষা এবং হিফজ/আলিম প্রোগ্রাম প্রদান করে। এগুলোর ফি তুলনামূলকভাবে কম, তবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু বাড়তি খরচ থাকতে পারে।

- পড়াশোনা করুন
দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য উপলব্ধ স্কলারশিপসমূহ
বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা যারা ইসলামিক স্টাডিজ, শরিয়া, আরবি ভাষা অথবা আধুনিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী, তাদের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিম্নলিখিত স্কলারশিপ ও সুযোগ উপলব্ধ:
International Peace College South Africa (IPSA) Scholarships
IPSA হলো একটি স্বনামধন্য ইসলামিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা শরিয়া, উসুল উদ-দীন এবং ইসলামিক স্টাডিজে ব্যাচেলর ও ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম অফার করে। মেধাবী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আংশিক টিউশন ফি ছাড় এবং নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে পূর্ণ স্কলারশিপ প্রদান করা হয়।
University of Johannesburg (UJ) – Islamic Studies Program
ইসলামিক স্টাডিজ ও থিওলজির উপর গবেষণাভিত্তিক মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। গবেষণার ভিত্তিতে ফান্ডেড পজিশনের জন্য আবেদন করার সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে শরিয়া বা ইসলামিক ইতিহাস সংশ্লিষ্ট বিষয়ে।
University of KwaZulu-Natal (UKZN) Scholarships
UKZN তাদের College of Humanities বিভাগে ইসলামিক স্টাডিজ ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের উপর প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন মাস্টার্স ও পিএইচডি গবেষণার জন্য স্কলারশিপ অফার করে, বিশেষ করে যখন গবেষণার বিষয় দক্ষিণ আফ্রিকায় ইসলামী সমাজ বা শরিয়া সম্পর্কিত হয়।
South African Islamic Universities and Institutes (Private Scholarships)
Cape Town Islamic Educational Centre, Madina Institute South Africa, এবং Al-Tanzil Institute এর মতো ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলো ইসলামিক স্টাডিজ ও হিফজ, আলিম প্রোগ্রামের জন্য সীমিত সংখ্যক স্কলারশিপ প্রদান করে। এ স্কলারশিপগুলো সাধারণত টিউশন ফি এবং আবাসন কভার করে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় পড়াশোনার জন্য ভিসার শ্রেণীবিভাগসমূহ

স্টুডেন্ট ভিসা
এটি প্রধান ভিসা যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা দক্ষিণ আফ্রিকায় পূর্ণকালীন বা আংশিককালীন পড়াশোনা করার জন্য পান

ইনটার্নশিপ বা প্রশিক্ষণ ভিসা
যারা পড়াশোনার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইন্টার্নশিপ বা প্রফেশনাল ট্রেনিং করতে চান তাদের জন্য

পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা
দক্ষিণ আফ্রিকায় পড়াশোনা শেষ করার পর, ছাত্ররা কিছু সময়ের জন্য কাজ করার অনুমতি পেতে পারেন এই ভিসা দিয়ে

ভিসা আবেদনের চেকলিস্ট
বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন চেকলিস্ট (বাংলাদেশ):
১. পূর্ণাঙ্গ আবেদন ফর্ম
DHA-1738 ফর্ম পূরণ করে সঠিকভাবে স্বাক্ষর করতে হবে। এই ফর্মটি দক্ষিণ আফ্রিকার হাই কমিশন বা তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে।
২. বৈধ পাসপোর্ট
কমপক্ষে ৩০ দিনের মেয়াদ থাকতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে আসার সম্ভাব্য তারিখের পর এবং অন্তত দুটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
৩. ভর্তি পত্র
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বীকৃত ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা মাদ্রাসার অফিসিয়াল ভর্তি পত্র, যা পূর্ণকালীন ভর্তি নিশ্চিত করে।
৪. আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ
আপনার নিজ খরচে বা পৃষ্ঠপোষকের সহায়তায় দক্ষিণ আফ্রিকায় পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আর্থিক প্রমাণ দিতে হবে, যেমন:
ব্যাংক স্টেটমেন্ট (সর্বশেষ ৩–৬ মাসের)
পিতামাতা বা অভিভাবকের পক্ষ থেকে আর্থিক দায়িত্ব গ্রহণের চিঠি
যেকোনো বৃত্তি বা শিক্ষাবৃত্তির প্রমাণ (যদি থাকে)
৫. আবাসনের প্রমাণ
দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে:
মাদ্রাসার হোস্টেল বা ডরমিটরি নিশ্চিতকরণ
বাসা ভাড়ার চুক্তিপত্র
দক্ষিণ আফ্রিকায় আত্মীয় বা পরিচিত কারো আমন্ত্রণপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)
৬. পাসপোর্ট সাইজ ছবি
সাম্প্রতিক সময়ে তোলা, নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী রঙিন ছবি (সাধারণত ২টি), যা বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ায় গ্রহণযোগ্য।
৭. স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
নিবন্ধিত চিকিৎসকের দেওয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট, যা প্রমাণ করে যে আবেদনকারী কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত নন (যেমন: টিবি)। রিপোর্টটি ইংরেজি বা দোভাষী অনুবাদসহ জমা দিতে হবে।
৮. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক ইস্যু করা সদাচরণের সার্টিফিকেট, ইংরেজি অনুবাদ সহ। এটি আবেদনকারীর পেছনে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই তা প্রমাণ করে।
৯. একাডেমিক নথিপত্র
পূর্ববর্তী শিক্ষার ট্রান্সক্রিপ্ট, সার্টিফিকেট, ও সমমানের ডকুমেন্ট (যেমন: দাওরায়ে হাদীসের সনদ) জমা দিতে হবে।
১০. ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণ
যদি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ভিসা অফিস তা দাবি করে, তাহলে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হতে পারে (যেমন: IELTS, TOEFL)। তবে অনেক ইসলামিক ইনস্টিটিউটে আরবি বা উর্দু মাধ্যমেও পড়ানো হয়—যে ভাষায় আপনি অধ্যয়ন করবেন, তার প্রমাণ উপস্থাপন করা আবশ্যক।
১১. অভিভাবকের অনুমতি (১৮ বছরের নিচে হলে)
নাবালক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে নোটারাইজড অভিভাবক সম্মতিপত্র, ইংরেজিতে অনুবাদ করা আবশ্যক।
১২. ফ্লাইট বুকিং বা ভ্রমণ পরিকল্পনা (ঐচ্ছিক)
সাধারণত বাধ্যতামূলক নয়, তবে সম্ভাব্য যাত্রার পরিকল্পনা বা প্রাথমিক রিটার্ন বুকিং জমা দেওয়া যেতে পারে।
১৩. স্বাস্থ্য বীমার প্রমাণ
দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার সময়কালীন একটি স্বীকৃত মেডিকেল ইনস্যুরেন্স (Minimum coverage সহ), যা স্টুডেন্ট হিসেবে প্রযোজ্য।
১৪. ভিসা আবেদন ফি জমার রসিদ
ভিসা আবেদন ফি (সাধারণত প্রায় ZAR 425, সময়ভেদে পরিবর্তন হতে পারে) জমা দেওয়ার প্রমাণ হিসেবে রসিদ সংযুক্ত করতে হবে।
১৫. বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান
দক্ষিণ আফ্রিকা হাই কমিশন বা ভিএফএস (VFS) সেন্টারে আঙুলের ছাপ ও ছবি জমা দিতে হতে পারে।

- পড়াশোনা করুন
দক্ষিণ আফ্রিকা
পড়াশোনার পর চাকরি ও স্থায়ী বাসস্থান (PR) অর্জনের পথসমূহ
বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় পড়াশোনার পর চাকরি ও স্থায়ী বসবাসের পথসমূহ:
পোস্ট-স্টাডি রেসিডেন্স অপশনস:
দক্ষিণ আফ্রিকা বর্তমানে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা শেষ করার পর সরাসরি পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা প্রদান করে না। তবে যারা পড়াশোনার সময়েই দক্ষতা অর্জন করেন এবং চাকরির অফার পান, তারা ভিসার ক্যাটাগরি পরিবর্তনের মাধ্যমে Temporary Residence Permit (Critical Skills বা General Work Visa) এর জন্য আবেদন করতে পারেন।
চাকরির সুযোগ:
দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন খাতে দক্ষ জনবল চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং, হেলথ কেয়ার, শিক্ষা, কৃষি, ফাইন্যান্স ও ধর্মীয় শিক্ষা খাতে। ইসলামিক স্টাডিজ বা হিফজ শিক্ষায় অভিজ্ঞদের জন্য ইসলামি সেন্টার, মসজিদ ও দাওয়াহ সংস্থাগুলিতে কাজের সুযোগ রয়েছে। ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি স্থানীয় ভাষা যেমন আফ্রিকান্স বা জুলু জানা থাকলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
ওয়ার্ক পারমিট (Temporary Employment Visa):
যারা দক্ষতা সম্পন্ন এবং চাকরির অফার পান, তারা নিম্নোক্ত ভিসাগুলোর জন্য আবেদন করতে পারেন:
General Work Visa: নিয়োগকর্তার চাকরির অফার প্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য অনুমোদিত, তবে এটা পেতে হলে প্রমাণ করতে হয় যে এই কাজের জন্য স্থানীয় দক্ষ কর্মী পাওয়া যায় না।
Critical Skills Visa: দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার নির্ধারিত ‘Critical Skills List’ অনুযায়ী নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা থাকলে আবেদন করা যায়। ইসলামিক থিওলজি/স্টাডিজ কখনো কখনো এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকে।
স্থায়ী বসবাস (Permanent Residence Permit):
দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫ বছর ধরে বৈধভাবে কাজ করার পর ব্যক্তিরা স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে Critical Skills Visa-এর অধীনে থাকা প্রার্থীরা চাকরি পাওয়ার পর সরাসরি Permanent Residence-এর জন্যও আবেদন করতে পারেন।
স্থায়ী বসবাস পাওয়ার জন্য সাধারণত প্রয়োজন হয়:
স্থায়ী আয়ের উৎস
অপরাধমুক্ত রেকর্ড
স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
দক্ষিণ আফ্রিকান সমাজে একীভূত হওয়ার ইচ্ছা ও সক্ষমতা
দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকত্বের পথ:
স্থায়ী বসবাস প্রাপ্তির পর ৫ বছর (বা বিয়ে করলে ২ বছর) দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করার পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদনকারীকে দেশের ভাষা, আইন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকতে হয় এবং সাধারণত ‘Citizenship Interview’ ও প্রশাসনিক যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়।

- পড়াশোনা করুন
দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রক্রিয়ার সময় আমাদের সহায়তা
বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় পড়াশোনা এবং বসবাসের প্রতিটি ধাপে আমরা আপনার পাশে আছি — প্রাথমিক পরামর্শ থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস পর্যন্ত, যাতে আপনার যাত্রা হয় সহজ, তথ্যসমৃদ্ধ ও সফল।
প্রতিটি ধাপে ব্যক্তিগত পরামর্শ — আমরা আপনার ধর্মীয় ও একাডেমিক পটভূমি, আর্থিক সামর্থ্য এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য বিবেচনা করে দক্ষিণ আফ্রিকার ইসলামিক স্টাডিজ ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে উপযুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করতে সহায়তা করি।
ভর্তি, ভিসা এবং যাত্রার জন্য একান্ত সহায়তা — আবেদনপত্র প্রস্তুত, ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাজানো, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় যাত্রার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতিতে আমরা আপনাকে গাইড করি।
সর্বদা যোগাযোগে সহজলভ্য — ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমেইল বা সরাসরি অফিসে এসে যেকোনো প্রশ্নে আমাদের সহায়তা নিতে পারেন।
নিয়মিত আপডেট, সময়মতো রিমাইন্ডার এবং নথি পর্যালোচনা — আবেদন প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়সীমা মনে করিয়ে দেওয়া হয় এবং আপনার নথিগুলো অভিজ্ঞ পরামর্শকদের দ্বারা রিভিউ করা হয় যাতে আপনি নিশ্চিন্তে সব কিছু জমা দিতে পারেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা আগমনের পর চেক-ইন ও অ্যালামনি মেন্টরিং — আপনি দেশটিতে পৌঁছানোর পর আমাদের টিম যোগাযোগ রাখে, এবং আপনাকে সেখানকার বাংলাদেশি বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করতে সহায়তা করে।
চাকরি অনুসন্ধান ও স্থায়ী বসবাস পরিকল্পনায় সহায়তা — ইসলামিক সেক্টর, গবেষণা, এনজিও বা সামাজিক উন্নয়নমূলক ক্ষেত্রগুলিতে চাকরির সুযোগ ও দক্ষিণ আফ্রিকায় পোস্ট-স্টাডি রেসিডেন্সের সম্ভাবনা নিয়ে আপনাকে একান্ত পরামর্শ প্রদান করা হয়।
Edex Global Nexus-এর সহায়তায়, আপনার দক্ষিণ আফ্রিকার শিক্ষা ও বসবাস যাত্রা হবে আত্মবিশ্বাসপূর্ণ ও সুসংগঠিত।