শিয়াদের ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষার কেন্দ্র
ইরান
|
কেন ইরান?
ইরানে উচ্চশিক্ষা মানেই ঐতিহ্যবাহী ইসলামি শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক গবেষণাধর্মী জ্ঞানচর্চার এক অনন্য সমন্বয়।
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্রসমূহ যেমন হাওজা ইলমিয়া কুম ও মাশহাদ, ছাড়াও ইরানে রয়েছে অনেক বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় (যেমন — ইরান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, আল-মুস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, শাহিদ বেহেশতি ইউনিভার্সিটি) যেখানে ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়াও ইসলামি দর্শন, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব, ফিকহ, আধুনিক সমাজবিজ্ঞান, আইন, প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান শেখার সুযোগ রয়েছে।
ইরান একটি ইসলামিক রিপাবলিক হওয়ায় এখানে ইসলামী মূল্যবোধ, পোশাক ও সামাজিক পরিবেশে ধর্মীয় অনুশাসনের যথাযথ সম্মান বজায় রাখা হয়। এজন্য বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় জীবনধারা বজায় রেখে পড়াশোনা করার জন্য ইরান একটি নিরাপদ ও মানানসই গন্তব্য।
ইরানে ছাত্রজীবন অত্যন্ত অর্থবহ —
ধর্মীয় ও একাডেমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে জ্ঞানচর্চা
আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন
গবেষণা প্রকল্প, কনফারেন্স ও সেমিনারে অংশগ্রহণ
ইসলামি সংস্কৃতি ও পার্সিয়ান ভাষার দক্ষতা অর্জন
এইসব সুযোগ একজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে শুধু একজন জ্ঞানী আলেম নয়, বরং একজন আন্তর্জাতিকভাবে দক্ষ স্কলার হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
শিক্ষা শেষ করার পরেও ইরানে কর্মসংস্থানের কিছু সুযোগ বিদ্যমান, বিশেষ করে ইসলামি গবেষণা, অনুবাদ, শিক্ষকতা, দাওয়াহ, ও মিডিয়া সংক্রান্ত কাজে। তাছাড়া, ইরানে অধ্যয়ন করা শিক্ষার্থীরা অন্যান্য ইসলামি দেশ বা পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর গবেষণার জন্যও প্রস্তুত হয়ে ওঠেন।
সার্বিকভাবে, ইরানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সময়োপযোগী ও ভবিষ্যত-নির্ভর সিদ্ধান্ত, যেখানে ধর্ম ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় রয়েছে — আত্মিক উন্নয়ন ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের এক বিশুদ্ধ সুযোগ।

- পড়াশোনা করুন
ইরান
ইরানের শিক্ষাক্রমসমূহ
ইরানে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা পর্যায়সমূহ (বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রেক্ষিতে):
● প্রাথমিক শিক্ষা (বয়স ৬–১২ বছর)
ইরানে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ফার্সি ভাষা, ইসলামি শিক্ষা, গণিত, বিজ্ঞান, ও সামাজিক শিক্ষার ভিত্তি অর্জন করে। কিছু ধর্মীয় স্কুল বা হাওযা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো ইসলামি শরিয়াহ ও কুরআনিক স্টাডিজকে গুরুত্ব দেয়, পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষাও প্রদান করে।
● মাধ্যমিক শিক্ষা (বয়স ১২–১৮ বছর)
এই ধাপে ছাত্ররা ধর্মীয় ও সাধারণ উভয় ধরনের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। বিশেষ করে যারা হাওযাভিত্তিক শিক্ষা গ্রহণ করছে, তারা ইসলামী ফিকহ, আকীদাহ, তাফসির, হাদীস, এবং আরবি সাহিত্য বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে। পাশাপাশি যারা সাধারণ শিক্ষায় আগ্রহী, তাদের জন্য সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলে বিজ্ঞান, মানবিক, ও প্রযুক্তি বিষয়ক পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।
● ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম
ইরানে কারিগরি শিক্ষা এবং শর্ট কোর্স ভিত্তিক ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম রয়েছে যেগুলো তথ্যপ্রযুক্তি, হেলথ টেকনোলজি, ফার্মেসি অ্যাসিস্ট্যান্ট, এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল স্কিলে মনোযোগ দেয়। ধর্মীয় শিক্ষার্থীরা যারা পেশাগত দক্ষতা অর্জনে আগ্রহী, তাদের জন্য এই ধরনের কোর্স একটি বাস্তবমুখী পথ হতে পারে।
● ব্যাচেলর ডিগ্রি (স্নাতক)
ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলামিক স্টাডিজ, ফার্সি সাহিত্য, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান, প্রকৌশল, এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কোর্স রয়েছে। যারা হাওযা বা মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে, তারা ইসলামিক ফ্যাকাল্টিতে ভর্তি হতে পারে, বিশেষ করে কুম ও মাশহাদ শহরের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এই ক্ষেত্রে বিখ্যাত।
● মাস্টার্স ডিগ্রি (স্নাতকোত্তর)
সাধারণত ১.৫–২ বছর মেয়াদি এই প্রোগ্রামগুলো গবেষণামূলক ও অ্যাকাডেমিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ডিজাইন করা। ইসলামিক দর্শন, শরিয়াহ, তাফসির, এবং ইসলামী আইন ছাড়াও প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, ও সামাজিক বিজ্ঞানেও মাস্টার্স ডিগ্রি পাওয়া যায়। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামিক বিষয়ে গভীর গবেষণার সুযোগ রয়েছে।
● পিএইচডি / ডক্টরাল স্টাডিজ
ইরানে ইসলামিক থট, ইসলামিক জ্যুরিসপ্রুডেন্স, কুরআনিক সায়েন্সেস, ফিকহ, এবং অন্যান্য ধর্মীয় শাখায় উন্নত গবেষণার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি যারা আধুনিক বিজ্ঞানে গবেষণা করতে চান, তাদের জন্যও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুযোগ রয়েছে। হাওযা ইলমিয়ার অধীনে ইসলামিক স্কলারশিপ ও গবেষণার পরিসর অত্যন্ত বিস্তৃত।

- পড়াশোনা করুন
ইরান
ধাপে ধাপে নির্দেশিকা
ইরানে পড়াশোনার পরিকল্পনায় বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য ধাপে ধাপে নির্দেশনা:
ধাপ ১: কোর্স ও প্রতিষ্ঠানের খোঁজ করা
আপনার মাদ্রাসা শিক্ষাগত পটভূমি, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়, হাওজা বা ইসলামি ইনস্টিটিউট বেছে নিন। ইরান বিশ্বজুড়ে ইসলামিক স্টাডিজ, ফিকহ, তাফসির, কালাম, ইসলামী দর্শন ও আরবি/ফার্সি ভাষা শিক্ষায় পরিচিত। এছাড়া কিছু প্রতিষ্ঠানে আধুনিক বিষয়ের উপরও কোর্স রয়েছে।
ধাপ ২: ভর্তির যোগ্যতা যাচাই করা
নির্বাচিত কোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় একাডেমিক যোগ্যতা (আলিম/ফাযিল/কামিল বা সমমান), ফার্সি বা আরবি ভাষা দক্ষতা, এবং ইসলামি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে হলে হিফজ, নাহু, সরফ বা অন্যান্য ইসলামী জ্ঞানের উপর দক্ষতার প্রমাণ জানতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে মৌখিক পরীক্ষা বা সাক্ষাৎকারও নিতে পারে।
ধাপ ৩: আবেদন করা
বিশ্ববিদ্যালয় বা ইসলামি ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট থেকে বা সংশ্লিষ্ট দূতাবাস/সংস্থার মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
একাডেমিক সনদ ও নম্বরপত্র (আলিম/ফাযিল/কামিল)
পাসপোর্ট কপি
ভাষা পরীক্ষার স্কোর বা ভাষাগত প্রস্তুতির বিবরণ
উদ্দেশ্যপত্র (Statement of Purpose)
সুপারিশপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)
ধাপ ৪: ভর্তির অফার নিশ্চিত করা
ভর্তি পেলে শর্তযুক্ত বা শর্তহীন অফার লেটার দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অফার গ্রহণ করে, প্রয়োজন হলে টিউশন ফি বা প্রসেসিং ফি জমা দিতে হয়।
ধাপ ৫: স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও বীমা করা
ইরানে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বা আলাদাভাবে স্বাস্থ্যবীমা নিতে হয়।
ধাপ ৬: শিক্ষার্থী ভিসার আবেদন করা
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
ভর্তি নিশ্চিতকরণ চিঠি
বৈধ পাসপোর্ট
মেডিকেল রিপোর্ট
আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ
ইরানি দূতাবাসে নির্ধারিত আবেদন ফরম ও ফি
ধাপ ৭: ভ্রমণের প্রস্তুতি ও থাকার ব্যবস্থা
ফ্লাইট বুক করুন, ইরানে পৌঁছার পর থাকার স্থান নির্ধারণ করুন (হোস্টেল, হাওজার ডরমিটরি বা ভাড়া বাসা)। অন্যান্য প্রস্তুতির মধ্যে:
ইরানি সিম কার্ড সংগ্রহ
স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা (যদি প্রযোজ্য হয়)
জরুরি যোগাযোগ নম্বর সংগ্রহ
ধাপ ৮: ইরানে পৌঁছে অরিয়েন্টেশনে অংশগ্রহণ করা
ইরানে পৌঁছে ইমিগ্রেশন ও রেজিস্ট্রেশনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বা হাওজার অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে অংশ নিন। এতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস, লাইব্রেরি, আবাসন ও স্থানীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা পান।
বোনাস টিপস:
ইরানে ইসলামি শিক্ষার পাশাপাশি যারা গবেষণামূলক কাজ করতে চান, তাদের জন্য সুযোগ রয়েছে আল্লাহ মেহরাবি ইউনিভার্সিটি, হাওজা ইলমিয়া কুম, ইমাম খোমেনি এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর মতো প্রতিষ্ঠানে।
কিছু বৃত্তি প্রোগ্রাম রয়েছে যেগুলো বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য।

- পড়াশোনা করুন
ইরান
ইরানে গড় টিউশন ফি (বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাসঙ্গিক)
ইসলামিক স্টাডিজ ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (হাওজা/শরিয়াহ ইন্সটিটিউট):
• অধিকাংশ সরকারি ইসলামিক প্রতিষ্ঠান (যেমন হাওজা ইলমিয়া) বিদেশি ছাত্রদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি, এমনকি অনেকক্ষেত্রে আবাসন, ভাতা ও চিকিৎসা সুবিধাও দেওয়া হয়।
• কিছু বেসরকারি ইসলামিক ইন্সটিটিউটে প্রতি বছর USD 300 – USD 1,000 হতে পারে, কোর্স ও প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী।
ডিপ্লোমা / ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম:
• প্রতি বছর USD 500 – USD 2,000
(যদি সাধারণ আরবি বা ফার্সি ভাষা, ইসলামিক সাপোর্টিভ সাবজেক্টে কোর্স হয়)
স্নাতক (Bachelor’s) ডিগ্রি:
• প্রতি বছর USD 1,000 – USD 4,000
(ইসলামিক স্টাডিজ, শরিয়াহ, ফিকহ, তাফসির, হাদীস ইত্যাদি বিষয়ক ক্ষেত্রে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খরচ কম)
মাস্টার্স (Master’s) ডিগ্রি:
• প্রতি বছর USD 1,500 – USD 5,000
(বিশেষ করে ইসলামি বিষয়ের জন্য কম, তবে বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি বিষয় হলে খরচ বাড়তে পারে)
ডক্টরেট / পিএইচডি প্রোগ্রাম:
• প্রতি বছর USD 2,000 – USD 6,000
(ইসলামি থট, ইসলামিক ফিন্যান্স, ফার্সি ভাষা, ইসলামি ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ে উচ্চতর গবেষণার জন্য ব্যয় হয়)

- পড়াশোনা করুন
ইরান
ইরানে আন্তর্জাতিক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য উপলব্ধ স্কলারশিপসমূহ (বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাসঙ্গিক)
১. ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় (Imam Khomeini International University – IKIU) স্কলারশিপ
• পূর্ণ স্কলারশিপ: টিউশন ফি, আবাসন, বই-খরচ এবং স্বাস্থ্যবীমা অন্তর্ভুক্ত।
• ইসলামিক স্টাডিজ, শরিয়াহ, ফার্সি ও আরবি ভাষা, ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে সুযোগ।
• মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চতর ইসলামি ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়।
২. হাওজা ইলমিয়া কুম স্কলারশিপ
• বিশেষ ইসলামিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন ও মাসিক ভাতা সহ পূর্ণ স্কলারশিপ।
• শরিয়াহ, ফিকহ, তাফসির, হাদীস ও অন্যান্য ইসলামি শাস্ত্রে উচ্চতর গবেষণার সুযোগ।
• বৃত্তি প্রাপ্তির জন্য দেশের বাইরে থেকে আবেদন করতে হয়।
৩. মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইসলামিক স্টাডিজ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ
• টিউশন ফি মওকুফ এবং মাসিক ভাতা সহ বৃত্তি।
• ইসলামিক শিক্ষার পাশাপাশি ফার্সি ও আরবি ভাষা শিক্ষার সুযোগ।
৪. ইরানের ইসলামিক শিক্ষা ও আওকাফ মন্ত্রণালয় স্কলারশিপ
• শরিয়াহ ও ইসলামিক স্টাডিজে আগ্রহী বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বৃত্তি।
• আবাসন ও দৈনন্দিন খরচের জন্য আর্থিক সহায়তা থাকতে পারে।
• নির্দিষ্ট ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি সাপেক্ষে প্রদান।
৫. ইরানি এনজিও ও ধর্মীয় সংস্থার স্কলারশিপ
• আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিন্তু মেধাবী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সহায়তা।
• একাডেমিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বিবেচনায় বৃত্তি প্রদান।
• স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামিক ইনস্টিটিউটের সাথে পার্টনারশিপ ভিত্তিক।
৬. ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজ (ICIS) স্কলারশিপ
• ইসলামিক থট, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামিক ফিলোসফিতে উচ্চতর গবেষণার জন্য বৃত্তি।
• মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ ও গবেষণা অনুদান।
ইরানে পড়াশোনার জন্য ভিসার শ্রেণীবিভাগসমূহ

স্টুডেন্ট ভিসা
ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি ইনস্টিটিউট বা হাওযা ইলমিয়া-তে পূর্ণকালীন ধর্মীয় বা একাডেমিক শিক্ষার জন্য এই ভিসা প্রদান করা হয়

রিসার্চ বা শর্ট-টার্ম স্টাডি ভিসা
যেসব শিক্ষার্থী স্বল্পমেয়াদী গবেষণা, ভাষা শিক্ষা বা ধর্মীয় কোর্সে অংশগ্রহণ করতে চান, তারা এই ক্যাটাগরির আওতায় ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন

স্পেশাল পারমিট/রিলিজ ভিসা
কিছু নির্দিষ্ট ইসলামি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (যেমন: কুম, মাশহাদ) ধর্মীয় পড়াশোনার জন্য বিশেষ পারমিট বা রিলিজ ভিসা প্রদান করে, যা স্টুডেন্ট ভিসার বিকল্প হতে পারে

ভিসা আবেদনের চেকলিস্ট
ইরানে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন চেকলিস্ট (বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য)
বৈধ পাসপোর্ট
কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদী, বায়োডাটা পৃষ্ঠা ও পূর্ববর্তী ভিসার কপি (যদি থাকে)।
ভর্তি বা অফার লেটার
ইরানে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক ইনস্টিটিউট বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল ভর্তি চিঠি।
পাসপোর্ট সাইজ ছবি
সাম্প্রতিক, সাদা বা হালকা ব্যাকগ্রাউন্ডসহ ছবি (ইরানের ভিসা স্পেসিফিকেশনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ)।
ভিসা আবেদন ফরম
পূর্ণাঙ্গ এবং স্বাক্ষরিত ফরম (সাধারণত আপনার বিশ্ববিদ্যালয় বা স্পন্সর সাহায্য করবে)।
টিউশন ফি পরিশোধের প্রমাণ
টিউশন ফি বা জমার রশিদ বা পেমেন্ট নিশ্চিতকরণ পত্র।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট / আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ
টিউশন ফি ও থাকার খরচ বহন করার জন্য পর্যাপ্ত তহবিলের প্রমাণ।
স্বাস্থ্য সনদপত্র
ইরানে প্রবেশের আগে অনুমোদিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বাধ্যতামূলক মেডিকেল পরীক্ষা ও রিপোর্ট।
আবাসনের তথ্য
ইরানে থাকার প্রমাণ (যেমন বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেল কনফার্মেশন বা বাসা ভাড়া চুক্তি)।
অভিভাবকের সম্মতি (১৮ বছরের নিচে হলে)
অভিভাবক বা পিতামাতার নোটারাইজড অনুমতি পত্র, প্রয়োজন হলে।
ভিসা ফি পরিশোধের রশিদ
ইরানি দূতাবাস বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী।

- পড়াশোনা করুন
ইরান
পড়াশোনার পর চাকরি ও স্থায়ী বাসস্থান (PR) অর্জনের পথসমূহ
ইরানে পড়াশোনার পর কাজের সুযোগসমূহ
কাজের সুযোগ ও ভিসা
ইরানে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সীমিত সময়ের জন্য কাজের সুযোগ পেতে পারেন, যদিও কাজের জন্য আলাদা কাজের ভিসা বা পারমিট আবশ্যক হতে পারে। সাধারণত ৬ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত কাজের অনুমতি পাওয়া যেতে পারে, যা সময়সীমার মধ্যে দেশের বাজার থেকে চাকরি খোঁজা যায়।
মূল কর্মক্ষেত্রসমূহ
ইসলামিক শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশেষ করে নিম্নলিখিত খাতে সুযোগ রয়েছে:
ইসলামিক স্টাডিজ, শরিয়াহ ও আরবি ভাষা
শিক্ষা ও গবেষণা
স্বাস্থ্যসেবা
তথ্যপ্রযুক্তি
ব্যবসা ও অর্থনীতি
ধর্মীয় শিক্ষা কেন্দ্র ও মাদ্রাসা
সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ
কাজের পারমিট
দীর্ঘমেয়াদী কাজের জন্য একটি বৈধ চাকরির চুক্তি প্রয়োজন। নিয়োগকর্তা আপনার জন্য কাজের পারমিট ও রেসিডেন্স ভিসার স্পনসর হিসেবে আবেদন করবে।
দীর্ঘমেয়াদী বসবাস ও স্থায়ী বাসস্থানের পথসমূহ
বিশেষ মেধাবী ও অবদানের ভিত্তিতে স্থায়ী বসবাস
ইরান কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ মেধাবী শিক্ষার্থী, গবেষক, অথবা উল্লেখযোগ্য অবদানকারী পেশাজীবীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী বসবাসের অনুমতি দিতে পারে।কর্মসংস্থানভিত্তিক রেসিডেন্সি
বৈধ চাকরির মাধ্যমে স্পন্সরশিপ পেয়ে ইরানে দীর্ঘমেয়াদী বসবাস করা সম্ভব। তবে পশ্চিমা দেশের মতো নিয়মতান্ত্রিক স্থায়ী বাসস্থান (Permanent Residency) ব্যবস্থা ইরানে সীমিত।বিনিয়োগকারী বা উদ্যোক্তা ভিসা
ইরানে ব্যবসা শুরু বা উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাসের অতিরিক্ত সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।
নাগরিকত্ব
ইরান নাগরিকত্ব বিদেশিদের জন্য খুবই সীমিত এবং কঠোর শর্তাধীন। সাধারণত এটি বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারের সুপারিশ ও অনুমোদনের মাধ্যমে দেয়া হয়। বিশেষ অবদান, সাংস্কৃতিক বা বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে সীমিত সংখ্যক বিদেশিকে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।

- পড়াশোনা করুন
ইরান
প্রক্রিয়ার সময় আমাদের সহায়তা
ইরানে পড়াশোনা করতে আগ্রহী বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা আপনার পাশে আছি — প্রথম পরামর্শ থেকে শুরু করে ইরানে নতুন জীবনে প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত, একটি স্ট্রেস-মুক্ত, সুশিক্ষিত ও সফল যাত্রা নিশ্চিত করার জন্য।
প্রতিটি ধাপে ব্যক্তিগত পরামর্শ
আমরা আপনার একাডেমিক লক্ষ্য, আর্থিক অবস্থা এবং ব্যক্তিগত পছন্দগুলো বোঝার জন্য সময় নিই, যাতে আপনাকে উপযুক্ত শিক্ষার পথ নির্দেশনা দিতে পারি।
ভর্তি, ভিসা ও যাত্রার জন্য একান্ত সহায়তা
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন, কাগজপত্র প্রস্তুতি, ভিসা আবেদন এবং যাত্রা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে নিবেদিত সহায়তা প্রদান করা হয়।
সর্বদা যোগাযোগে আছি
ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমেইল বা ব্যক্তিগতভাবে, যেভাবে যোগাযোগ করতে চান আমরা তাতে সাড়া দিয়ে সাহায্য করব।
নিয়মিত আপডেট, সময়সীমার সতর্কবার্তা এবং কাগজপত্র পর্যালোচনা
সময়মতো প্রয়োজনীয় তথ্য, ডেডলাইন এবং আপনার কাগজপত্রের সঠিকতা যাচাই করে আপনাকে ট্র্যাকেই রাখি।
আগমনের পর সহায়তা ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মেন্টরিং
ইরানে পৌঁছানোর পরও আমরা সংযুক্ত থাকি, নিয়মিত সহায়তা প্রদান করি এবং সফল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সাথে আপনাকে যুক্ত করি।
চাকরি অনুসন্ধান ও স্থায়ী বসবাস পরিকল্পনায় সহায়তা
চাকরির সুযোগ, সিভি প্রস্তুতি এবং স্থায়ী বাসস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় পথনির্দেশনা প্রদান করা হয়, এমনকি গ্রাজুয়েশনের পরেও।