শান্তি ও ইসলামী মূল্যবোধের দেশ
ইন্দোনেশিয়া
|
কেন ইন্দোনেশিয়া?
ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি চমৎকার গন্তব্য, যেখানে শিক্ষার মান, সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অনন্য সমন্বয় রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় উচ্চমানের ইসলামিক ও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে কম খরচে পাওয়া যায়।
দেশটির অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডিগ্রি প্রদান করে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে একাডেমিক সহযোগিতা রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়ায় মাদ্রাসা পটভূমির শিক্ষার্থীদের জন্য ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ খুবই সহায়ক।
দেশটি বহুসাংস্কৃতিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সমাজ দ্বারা গঠিত, যেখানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সহজে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে।
ইংরেজি ভাষাভাষীরাও শিক্ষা ও দৈনন্দিন জীবনে চলাচল করতে পারেন, যদিও স্থানীয় ভাষা (বাহাসা ইন্দোনেশিয়া) জানলে অতিরিক্ত সুবিধা হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূ-অবস্থানে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়া, যার উন্নত অবকাঠামো ও অর্থনীতি শিক্ষার্থীদের জন্য শেখা, সংযোগ তৈরির ও পেশাগত বিকাশের অপার সুযোগ সৃষ্টি করে।

- পড়াশোনা করুন
ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষাক্রমসমূহ
১. প্রাথমিক শিক্ষা (বয়স ৬–১২ বছর)
এই স্তরে শিক্ষার্থীরা ভাষা (বাহাসা ইন্দোনেশিয়া, আরবি, ইংরেজি), গণিত, বিজ্ঞান, ইসলামি শিক্ষা ও নৈতিকতা বিষয়ক মৌলিক জ্ঞান অর্জন করে।
সরকারি, বেসরকারি ও ইসলামি (মাদ্রাসা ভিত্তিক) বিদ্যালয়গুলো এই পর্যায়ে শিক্ষা প্রদান করে।
২. মাধ্যমিক শিক্ষা (বয়স ১৩–১৭ বছর)
দুইটি ধাপে বিভক্ত: নিম্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক।
শিক্ষার্থীরা জাতীয় পাঠ্যক্রম (Kurikulum Merdeka) অনুসরণ করে, পাশাপাশি অনেক মাদ্রাসায় ইসলামি স্টাডিজ, কুরআন তাফসির, ফিকহ ও আরবি ভাষার উপর জোর দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক স্কুলে IGCSE বা IB প্রোগ্রামও উপলব্ধ।
৩. প্রাক-স্নাতক / ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম (বয়স ১৭–১৯ বছর)
বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ববর্তী প্রস্তুতির জন্য ফাউন্ডেশন, ডিপ্লোমা, বা ইসলামি কলেজ ভিত্তিক আলিমিয়্যাহ প্রোগ্রাম পড়ানো হয়।
বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা এই স্তরে সরাসরি ভর্তি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারে।
৪. ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম (সাধারণত ২–৩ বছর)
কারিগরি ও পেশাভিত্তিক শিক্ষার উপর ভিত্তি করে তৈরি এই প্রোগ্রামগুলো ব্যবসা, তথ্য প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং, হসপিটালিটি, মিডিয়া ও ডিজাইন বিষয়ে পড়ানো হয়।
অনেক ইসলামিক কলেজও ইসলামি ব্যাংকিং, শরিয়াহ আইন, হাদীস ও তাফসিরে ডিপ্লোমা কোর্স চালায়।
৫. স্নাতক (ব্যাচেলর) ডিগ্রি (সাধারণত ৩–৪ বছর)
সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ইসলামী শিক্ষা, শরিয়াহ, উসূলুদ্দিন, আরবি সাহিত্য, পাশাপাশি সাধারণ বিষয়ে (ব্যবসা, আইন, প্রকৌশল) স্নাতক ডিগ্রি পড়ার সুযোগ রয়েছে।
কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক ডিগ্রি বা দ্বৈত ডিগ্রি (যেমন: মালয়েশিয়া, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া) পাওয়া যায়।
৬. মাস্টার্স ডিগ্রি (১–২ বছর)
কোর্সওয়ার্ক, গবেষণা বা মিশ্র পদ্ধতিতে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।
বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ইসলামি ফিকহ, কুরআন ও হাদীস, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব, ইসলামি অর্থনীতি, বা শিক্ষা নীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে পারে।
৭. পিএইচডি / ডক্টরাল স্টাডিজ (৩–৫ বছর)
গবেষণাভিত্তিক প্রোগ্রাম যা ধর্মীয় জ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, শিক্ষা ও প্রযুক্তির উপর কেন্দ্রিত।
মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীরা এই স্তরে শরিয়াহ, ইসলামিক দর্শন, ইসলামি ইতিহাস বা দাওয়াহ বিষয়ে গবেষণা করতে পারে।

- পড়াশোনা করুন
ইন্দোনেশিয়া
ধাপে ধাপে নির্দেশিকা
Step 1: শিক্ষা ও কোর্স সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া
ইন্দোনেশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কী কী কোর্স পাওয়া যায়, তা যাচাই করুন। বিশেষ করে যারা হাফেজি, আলিম, ফাযিল বা কামিল করেছেন, তাদের জন্য ইসলামি স্টাডিজ, শরিয়াহ, উসুলুদ্দিন, আরবি ভাষা ইত্যাদি বিভাগে সুযোগ থাকে।
Step 2: ভর্তি যোগ্যতা যাচাই করা
নির্বাচিত প্রোগ্রামের ন্যূনতম যোগ্যতা দেখুন। আলিম বা ফাযিল সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য কিনা, আরবি বা ইংরেজিতে দক্ষতা প্রয়োজন কিনা, সেটা যাচাই করুন। কিছু প্রোগ্রামে TOEFL/IELTS অথবা Bahasa Indonesia Proficiency লাগতে পারে।
Step 3: আবেদন প্রস্তুত ও জমা দেওয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বা নির্ধারিত আবেদন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করুন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন:
পূর্ববর্তী শিক্ষাগত সনদ ও নম্বরপত্র
পাসপোর্ট কপি
ব্যক্তিগত বিবৃতি (Statement of Purpose)
সুপারিশপত্র (যদি প্রয়োজন হয়)
Step 4: অফার লেটার গ্রহণ
ভর্তি পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি অফার লেটার (Letter of Acceptance) পাঠানো হবে। এটি গ্রহণ করতে হলে কিছু অগ্রিম ফি জমা দিতে হতে পারে।
Step 5: শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আবেদন (Student Visa)
ইন্দোনেশিয়ার ইমিগ্রেশন অফিসে শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় অনেক সময় ভিসা প্রসেসিংয়ে সহায়তা করে। সাধারণত লাগবে:
অফার লেটার
মেডিকেল রিপোর্ট
পাসপোর্ট
ছবি
ব্যাংক স্টেটমেন্ট (অর্থনৈতিক সামর্থ্য দেখাতে)
Step 6: মেডিকেল পরীক্ষা ও বিমা
ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের আগে নির্ধারিত মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করুন। অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় হেলথ ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করে।
Step 7: একক প্রবেশ ভিসার জন্য আবেদন (Single Entry Visa)
ভিসা অনুমোদনের চিঠি (Visa Approval Letter) পাওয়ার পর, ঢাকায় অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাস থেকে একক প্রবেশ ভিসা (Single Entry Student Visa) সংগ্রহ করুন।
Step 8: ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ
ভ্রমণের সময় আপনার অফার লেটার, ভিসা অনুমোদনপত্র, মেডিকেল রিপোর্ট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সঙ্গে নিন। আগমনের পর বিশ্ববিদ্যালয় আপনার শিক্ষার্থী পারমিট/কিটাস (KITAS) প্রসেস করবে।
Step 9: ওরিয়েন্টেশন ও বসবাসের প্রস্তুতি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে অংশ নিন। হোস্টেল বা বাসা ঠিক করুন, স্থানীয় সিম কার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং ক্লাসে অংশগ্রহণ শুরু করুন।

- পড়াশোনা করুন
ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ায় গড় টিউশন ফি (বাংলাদেশি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য)
প্রাইমারি স্কুল (৬–১২ বছর বয়স):
প্রায় ১,৫০০ – ৫,০০০ মার্কিন ডলার/বছর (বেসরকারি বা আন্তর্জাতিক স্কুলে)সেকেন্ডারি স্কুল (১৩–১৭ বছর বয়স):
প্রায় ২,০০০ – ৬,০০০ মার্কিন ডলার/বছর (স্কুল ও কারিকুলামের ওপর নির্ভর করে)ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম (২–৩ বছর মেয়াদি):
প্রায় ২,৫০০ – ৫,০০০ মার্কিন ডলার/বছরব্যাচেলর ডিগ্রি (৩–৪ বছর মেয়াদি):
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়: প্রায় ২,৫০০ – ৬,০০০ মার্কিন ডলার/বছর
বেসরকারি বা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়: প্রায় ৪,০০০ – ১০,০০০ মার্কিন ডলার/বছর
মাস্টার্স ডিগ্রি (১–২ বছর মেয়াদি):
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়: প্রায় ২,৫০০ – ৫,০০০ মার্কিন ডলার/বছর
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়: প্রায় ৪,০০০ – ৮,০০০ মার্কিন ডলার/বছর
পিএইচডি/ডক্টরাল স্টাডিজ (৩–৫ বছর মেয়াদি):
প্রায় ২,৫০০ – ৬,০০০ মার্কিন ডলার/বছর (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেশি ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একই)

- পড়াশোনা করুন
ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাপ্তিযোগ্য স্কলারশিপসমূহ (বাংলাদেশি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপযোগী)
সরকারি / জাতীয় পর্যায়ের স্কলারশিপ
Kemitraan Negara Berkembang (KNB) Scholarship – ইন্দোনেশিয়া সরকারের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় স্কলারশিপ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য।
LPDP Scholarship (Lembaga Pengelola Dana Pendidikan) – মাস্টার্স ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য, মূলত গবেষণা ও নেতৃত্বে আগ্রহীদের অগ্রাধিকার।
Indonesian Ministry of Religious Affairs Scholarships – ইসলামি স্টাডিজ ও মাদরাসা-ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সুবিধা।
Darmasiswa Scholarship – ইন্দোনেশিয়ার ভাষা, সংস্কৃতি ও আর্টস অধ্যয়নে আগ্রহীদের জন্য ১ বছরের প্রোগ্রাম।
বিশ্ববিদ্যালয়-ভিত্তিক স্কলারশিপ
Universitas Islam Negeri (UIN) Scholarships – ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব স্কলারশিপ, যেমন UIN Jakarta, UIN Malang, UIN Yogyakarta।
Universitas Muhammadiyah Scholarships – ইসলামি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে দেওয়া হয়।
Universitas Gadjah Mada (UGM) Scholarships for International Students
Universitas Indonesia (UI) Scholarships – UI International Program
Bandung Institute of Technology (ITB) International Scholarships
BINUS University Global Scholarship – কম্পিউটার সায়েন্স, বিজনেস ও ডিজাইন বিষয়ে আগ্রহীদের জন্য।
Telkom University Scholarships – ICT ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ক স্কলারশিপ।
ফাউন্ডেশন ও কর্পোরেট স্কলারশিপ
Tahfiz Qur’an Scholarships – কুরআনের হাফেজদের জন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ স্কলারশিপ প্রাপ্তিযোগ্য।
Dompet Dhuafa Foundation Scholarships
Baitulmaal Muamalat Scholarships
Yayasan BAZNAS Scholarships – জাকাত ফান্ড থেকে অর্থায়িত স্কলারশিপ, বিশেষ করে ইসলামি শিক্ষায় আগ্রহীদের জন্য।
Yayasan Pendidikan Astra – Honda Foundation Scholarships
Yayasan Rumah Zakat Scholarships
অন্যান্য সম্ভাব্য স্কলারশিপ
ASEAN University Network (AUN) Scholarships – বাংলাদেশ-সহ ASEAN সহযোগী দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী।
OIC (Organization of Islamic Cooperation) Linked Islamic Scholarships – ইসলামিক দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে কিছু স্কলারশিপ সরবরাহ করে।
Scholarships through Embassy of Indonesia in Dhaka – বাংলাদেশের ইন্দোনেশিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে কিছু সীমিত সংখ্যক স্পেশাল স্কলারশিপ দেওয়া হয়।
ইন্দোনেশিয়ায় পড়াশোনার জন্য ভিসার শ্রেণীবিভাগসমূহ

স্টুডেন্ট ভিসা
এই ভিসাটি ইন্দোনেশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা বা স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফুল-টাইম পড়াশোনার জন্য প্রধান ভিসা

স্বল্পমেয়াদী শিক্ষা ভিসা
ভাষা শিক্ষা (যেমন বাহাসা ইন্দোনেশিয়ান), শর্ট কোর্স, শর্ট-টার্ম ইসলামিক স্টাডিজ বা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের জন্য এই ভিসাটি ব্যবহার করা হয়

বৃত্তিভিত্তিক স্টুডেন্ট ভিসা
ইন্দোনেশিয়ান সরকারের Darmasiswa বৃত্তি প্রোগ্রাম-এর আওতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ইসলামি স্টাডিজ শেখার সুযোগ দেওয়া হয়

ভিসা আবেদনের চেকলিস্ট
ইউনিভার্সিটি/ইনস্টিটিউশন সম্পর্কিত
ইন্দোনেশিয়ার অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়/ইনস্টিটিউশন থেকে অফার লেটার বা অ্যাকসেপ্টেন্স লেটার
প্রয়োজনে ইনস্টিটিউশনের পক্ষ থেকে ভিসা রেকমেন্ডেশন চিঠি
পাসপোর্ট ও ফর্ম
কমপক্ষে ১৮ মাসের মেয়াদ-সম্পন্ন বৈধ পাসপোর্ট
সম্পূর্ণ পূরণকৃত স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন ফর্ম (অনলাইনে বা ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাস থেকে)
সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডসহ পাসপোর্ট সাইজের ছবি (বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত ফরম্যাট অনুযায়ী)
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ভাষার প্রমাণ
পূর্ববর্তী শিক্ষাগত সনদপত্র ও মার্কশীটের সত্যায়িত কপি
ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ (যেমন IELTS/TOEFL), যদি প্রয়োজন হয়
আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ
সর্বশেষ ব্যাংক স্টেটমেন্ট (সাধারণত ৬ মাসের)
স্পনসরশিপ লেটার বা সাপোর্টিং অ্যাফিডেভিট (যদি পরিবার বা অন্য কেউ খরচ বহন করে)
আয়কর রিটার্ন সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য)
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নথি
দূতাবাস স্বীকৃত ক্লিনিক থেকে মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট
প্রয়োজনে স্বাস্থ্য বীমার প্রমাণ (বিশ্ববিদ্যালয় বা দূতাবাসের নির্দেশনা অনুযায়ী)
হলুদ জ্বরপ্রবণ কোনো দেশে ভ্রমণ করলে Yellow Fever টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট
অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
No Objection Certificate (NOC), নির্দিষ্ট বয়সের নিচে হলে বা সরকারি স্কলারশিপে থাকলে প্রযোজ্য
ভিসা ফি প্রদানের রসিদ
ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে পূরণ করা ও স্বাক্ষরিত বন্ড বা ঘোষণা ফর্ম
ফ্লাইট বুকিং ডকুমেন্ট (প্রয়োজনে)

- পড়াশোনা করুন
ইন্দোনেশিয়া
পড়াশোনার পর চাকরি ও স্থায়ী বাসস্থান (PR) অর্জনের পথসমূহ
ইন্দোনেশিয়ায় পড়াশোনার পর চাকরির সুযোগ
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে দক্ষ পেশাজীবীদের প্রয়োজন রয়েছে এমন খাতে চাকরির আবেদন করতে পারেন — যেমন: শিক্ষা, ইসলামিক স্টাডিজ, ভাষা ও অনুবাদ, গবেষণা, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, পরিবেশ ইত্যাদি।
চাকরি করতে হলে শিক্ষার্থীদের Work Permit (Izin Kerja) সংগ্রহ করতে হয়, যা ইন্দোনেশিয়ার নিয়োগকর্তার মাধ্যমে স্পনসর হতে হয়।
Work Permit পাওয়ার জন্য সাধারণত কাজের ধরণ, বেতনমান (সাধারণত ইন্দোনেশিয়ার ন্যূনতম চাকরির বেতন সীমা পূরণ), ও নিয়োগকর্তার বিদেশি কর্মী নিয়োগের যোগ্যতা যাচাই করা হয়।
কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপ বা ট্রেইনি স্কিমও প্রদান করে, যা ভবিষ্যতে ফুল-টাইম চাকরিতে পরিণত হতে পারে।
পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (PR) এর সুযোগ
ইন্দোনেশিয়া সরাসরি স্টুডেন্ট ভিসা থেকে PR দেয় না। PR পাওয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদী বসবাস ও কাজের ইতিহাস থাকতে হয়।
সাধারণত PR-এর জন্য আবেদন করা যায় যদি:
কমপক্ষে ৫ বছর ধারাবাহিকভাবে ইন্দোনেশিয়ায় বসবাস করা হয় (বিশেষত Work Visa বা KITAS/KITAP এর অধীনে)।
আবেদনকারী ইন্দোনেশিয়ায় দক্ষতা, চাকরি, ব্যবসা বা বিনিয়োগের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকের সাথে বিবাহিত হলে PR পাওয়ার যোগ্যতা অনেক বেড়ে যায়।
KITAP (Kartu Izin Tinggal Tetap) নামে পরিচিত পার্মানেন্ট স্টে পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারেন যারা দীর্ঘমেয়াদী KITAS হোল্ডার এবং নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করেন।
PR প্রক্রিয়া কঠোর এবং কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট মূল্যায়ন করে।

- পড়াশোনা করুন
ইন্দোনেশিয়া
প্রক্রিয়ার সময় আমাদের সহায়তা
আপনার জন্য আমাদের সহায়তা সেবাসমূহ
✓ প্রতিটি ধাপে ব্যক্তিগতকৃত পরামর্শ
আমরা আপনার শিক্ষাগত লক্ষ্য, আর্থিক অবস্থা এবং ব্যক্তিগত পছন্দসমূহ বোঝার জন্য সময় নিই, যেন আপনাকে ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে উপযোগী মাদ্রাসা বা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনে সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দিতে পারি।
✓ ভর্তি, ভিসা ও ভ্রমণের জন্য এক-একজন সহকারী
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন, নথিপত্র প্রস্তুতকরণ, ভিসা জমা, এবং ভ্রমণের ব্যবস্থা — সবকিছুতেই আপনাকে নিবেদিতভাবে সহায়তা করি।
✓ সবসময় যোগাযোগযোগ্য
ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমেইল বা সরাসরি অফিসে — যেভাবে আপনার জন্য সুবিধাজনক, সেভাবেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
✓ নিয়মিত আপডেট, অনুস্মারক এবং ডকুমেন্ট রিভিউ
প্রয়োজনীয় সময়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানো, সময়সীমার অনুস্মারক, এবং আপনার ডকুমেন্ট যাচাই করে নিশ্চিত করা হয় যেন কোনো ভুল না হয়।
✓ পৌঁছানোর পরেও খোঁজখবর ও অভিজ্ঞ প্রাক্তনদের সহায়তা
আপনি ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানোর পরও আমরা আপনার সঙ্গে যুক্ত থাকি। অভ্যস্ত হওয়ার জন্য সহায়তা এবং পূর্ববর্তী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ করে দিই।
✓ চাকরি খোঁজা ও ভবিষ্যতের PR পরিকল্পনায় সহায়তা
পড়াশোনার পর চাকরি খোঁজা, সিভি প্রস্তুত করা, এবং ইন্দোনেশিয়ার পার্মানেন্ট রেসিডেন্সির সম্ভাব্য পথ সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়ে থাকি।