কেন যুক্তরাজ্য?
যুক্তরাজ্য (UK) বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চমানের ইসলামিক ও আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের একটি সমৃদ্ধ ও সম্মানিত গন্তব্য। এখানে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি ইসলামি স্টাডিজ, শারিয়াহ, উসুলুদ্দিন, ফিকহ, আরবি ভাষা এবং অন্যান্য আধুনিক বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। ইংরেজিভাষী দেশ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সহজে আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করতে পারে এবং বৈশ্বিক চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাজ্যে ইসলামিক শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য সুপ্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট, মসজিদ-ভিত্তিক শিক্ষাকেন্দ্র এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রবান্ধব প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মুসলিমদের জন্য হালাল খাদ্য, নামাজের স্থান, এবং ইসলামি জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধাসমূহ সহজলভ্য। ফলে মাদ্রাসা পটভূমির শিক্ষার্থীরা তাদের ধর্মীয় ও সংস্কৃতিক মূল্যবোধ বজায় রেখেই উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে পারেন।
টিউশন ফি তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও বিভিন্ন বৃত্তি, স্কলারশিপ এবং সরকারি সহায়তার মাধ্যমে ব্যয় সামাল দেওয়া সম্ভব। এছাড়া, যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার পাশাপাশি নির্দিষ্ট ঘন্টা পর্যন্ত কাজের অনুমতি থাকায় শিক্ষার্থীরা আয়-রোজগারের সুযোগও পায়।
যুক্তরাজ্যে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক তৈরি, গবেষণা অভিজ্ঞতা অর্জন এবং ক্যারিয়ার গঠনের ব্যাপারে অসাধারণ সুযোগ পান। পড়াশোনা শেষে পিএসডব্লিউ (Post-Study Work) ও দীর্ঘমেয়াদি বসবাস বা পিআর (Permanent Residency) এর পথও উন্মুক্ত থাকে, যা ভবিষ্যতের জন্য একটি নিরাপদ ও সফল ভিত্তি প্রদান করে।

- পড়াশোনা করুন
যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের শিক্ষাক্রমসমূহ
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা
যুক্তরাজ্যে মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামী মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এখানে ইসলামিক স্কুল, ফেইথ-স্কুল এবং পাবলিক স্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি নেওয়া যায়। ইসলামিক স্কুলগুলো সাধারণত জাতীয় কারিকুলাম অনুসরণ করেই পড়ানো হয়, তবে সাথে ইসলামিক স্টাডিজ, কুরআন শিক্ষা ও আরবি ভাষাও পড়ানো হয়। অনেক মাদ্রাসা স্কুল হোস্টেল সুবিধাসহ শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে।
কারিগরি ও ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণ
যেসব মাদ্রাসা শিক্ষার্থী দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি টেকনিক্যাল দক্ষতা অর্জনে আগ্রহী, তাদের জন্য যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন Further Education (FE) colleges-এ স্কিল-বেইজড ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। এই কোর্সগুলো হসপিটালিটি, গাড়ি মেরামত, তথ্যপ্রযুক্তি, নির্মাণশিল্প, ও স্বাস্থ্যসেবার মতো ক্ষেত্রে কাজের উপযোগী প্রশিক্ষণ দেয়।
ব্যাচেলর ডিগ্রি
মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস বা সমমান সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ, শারিয়া, আরবি, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, মিডিয়া, শিক্ষা, বা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতো বিষয়ে স্নাতক কোর্সে আবেদন করতে পারে। UK NARIC বা ENIC এর মাধ্যমে দাওরার সমমান নির্ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরাসরি Year 1-এ ভর্তি বা Foundation Year করতে হয়। অধিকাংশ প্রোগ্রাম ইংরেজি মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
মাস্টার্স ডিগ্রি
দাওরায়ে হাদিসের পর যারা আরও উচ্চশিক্ষা নিতে চান, তারা যুক্তরাজ্যে ইসলামিক স্টাডিজ, ধর্মতত্ত্ব, আরবি ভাষা, শিক্ষা, উন্নয়ন অধ্যয়ন, মিডিয়া ও সাংবাদিকতা, বা অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয়ে মাস্টার্স করতে পারেন। ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক বছরের ইনটেন্সিভ মাস্টার্স প্রোগ্রাম অফার করে, যা গবেষণাভিত্তিক ও কোর্সওয়ার্ক ভিত্তিক দু’ধরনের হতে পারে।
পিএইচডি প্রোগ্রাম
যেসব মাদ্রাসা শিক্ষার্থী গবেষণাভিত্তিক ক্যারিয়ারে আগ্রহী, তারা ইসলামিক স্টাডিজ, ফিকহ, তাফসির, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান বা আন্তঃধর্ম সংলাপের মতো বিষয়ে পিএইচডি করতে পারেন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্কলারদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ ও গবেষণা তহবিল রয়েছে, যেমন চেভেনিং, কমনওয়েলথ, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক অনুদান।

- পড়াশোনা করুন
যুক্তরাজ্য
ধাপে ধাপে নির্দেশিকা
ধাপ ১: বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রাম অনুসন্ধান করুন
যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলামিক স্টাডিজ, শরিয়াহ, আরবি ভাষা, আইন, শিক্ষা, সমাজবিজ্ঞান ও অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সাধারণ বিষয়ের ওপর উচ্চমানের প্রোগ্রাম রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সাধারণত ইংরেজি ভাষায় পাঠদানপ্রাপ্ত কোর্সে ভর্তি হয়। UCAS-এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রামের বিস্তারিত তথ্য অনুসন্ধান করুন।
ধাপ ২: যোগ্যতার শর্তাবলী পরীক্ষা করুন
বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাধারণত দাখিল ও আলিম পর্যায়ের সার্টিফিকেট, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা (IELTS UKVI সহ), এবং নির্দিষ্ট কোর্স অনুযায়ী প্রাক-যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। কিছু ইসলামিক স্টাডিজ প্রোগ্রামে পূর্বে ইসলামি শিক্ষার পটভূমি থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
ধাপ ৩: আবেদন প্রস্তুত ও জমা দিন
UK-এর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন সাধারণত UCAS-এর মাধ্যমে করা হয় (অন্ডারগ্র্যাজুয়েট লেভেলের জন্য)। আবেদনপত্রের সাথে পাসপোর্ট, একাডেমিক সার্টিফিকেট, IELTS স্কোর, ব্যক্তিগত বিবরণ (Personal Statement), এবং শিক্ষকদের সুপারিশপত্র প্রদান করতে হয়।
ধাপ ৪: বৃত্তি ও অর্থায়ন সুযোগ অনুসন্ধান করুন
চেভেনিং স্কলারশিপ, কমনওয়েলথ স্কলারশিপ, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের বৃত্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক স্কলারশিপ এবং মুসলিম স্টুডেন্টদের জন্য নির্ধারিত আঞ্চলিক স্কলারশিপ সম্পর্কে অনুসন্ধান করুন। বাংলাদেশি ইসলামিক শিক্ষার প্রেক্ষাপট থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা থাকতে পারে।
ধাপ ৫: ভর্তি অফার পান এবং স্বীকার করুন
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার পেলে তা নির্ধারিত সময়ে গ্রহণ করুন। কন্ডিশনাল অফার হলে IELTS বা অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে আনকন্ডিশনাল অফার সংগ্রহ করুন। তারপর CAS (Confirmation of Acceptance for Studies) ডকুমেন্ট গ্রহণ করুন।
ধাপ ৬: UK Student Visa-এর জন্য আবেদন করুন
ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর UK Student Visa-এর জন্য আবেদন করুন। আবেদনপত্রের সাথে CAS, পাসপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট (যেখানে দেখাতে হবে আপনি টিউশন ফি ও থাকা খরচ বহন করতে পারবেন), TB টেস্ট রিপোর্ট, IELTS স্কোর ইত্যাদি জমা দিতে হবে।
ধাপ ৭: থাকার ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য বীমা করুন
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল অথবা প্রাইভেট রেন্টে থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। NHS surcharge পরিশোধ করে যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করুন। এটি ভিসার প্রক্রিয়ার অংশ।
ধাপ ৮: ভ্রমণ পরিকল্পনা ও আগমন
ভিসা পাওয়ার পর বিমান টিকিট বুক করুন এবং যাত্রার জন্য প্রস্তুতি নিন। আগমনের সময় হাতে রাখুন: পাসপোর্ট, ভিসা, CAS, ব্যাংক প্রমাণপত্র, থাকার প্রমাণ, এবং হেলথ সার্টিফিকেট। বিশ্ববিদ্যালয় আগমনের পর ইনডাকশন সেশনে অংশগ্রহণ করুন এবং BRP (Biometric Residence Permit) সংগ্রহ করুন।

- পড়াশোনা করুন
যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যে গড় শিক্ষাবর্ষিক টিউশন ফি (২০২৫):
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ইন্ডিপেন্ডেন্ট / প্রাইভেট স্কুলসমূহ)
বছরে প্রায় £১২,০০০ – £২৫,০০০
যুক্তরাজ্যের ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুলগুলো বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করে, এবং অনেক স্কুলে ইসলামিক স্টাডিজ, হিফজ, ও আরবি ভাষার কোর্স অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী। কিছু ইসলামিক স্কুলে বোর্ডিং ব্যবস্থাও রয়েছে। সরকারি স্কুলগুলো সাধারণত বিনামূল্যে হলেও সেখানে ধর্মীয় শিক্ষা সীমিত এবং ভর্তি পাওয়া প্রতিযোগিতামূলক হতে পারে।
স্নাতক ডিগ্রী (বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ)
বছরে প্রায় £১৩,০০০ – £২০,০০০
যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলামিক স্টাডিজ, শরিয়াহ, আরবি ভাষা, ও ইসলামিক ইতিহাস সহ বিভিন্ন বিষয় পড়ার সুযোগ রয়েছে। যেমন University of Birmingham, SOAS University of London, ও Al-Maktoum College of Higher Education। টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ বা ফিনান্সিয়াল এইডের সুযোগ থাকে।
মাস্টার্স ডিগ্রী (বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ)
বছরে প্রায় £১৪,০০০ – £২৫,০০০
মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলোতে ইসলামিক ফিন্যান্স, ইসলামিক থিওলজি, Comparative Religion, ও Middle Eastern Studies বিষয়ে গভীরতর গবেষণার সুযোগ থাকে। যুক্তরাজ্যের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি স্কলারদের জন্য স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু আছে। বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভাষা দক্ষতা (IELTS/TOEFL) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পিএইচডি প্রোগ্রাম (বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ)
বছরে প্রায় £১২,০০০ – £১৮,০০০ (কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ফান্ডেড)
ইসলামিক স্টাডিজ, ফিকহ, ইসলামিক ইতিহাস, ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা করতে চাইলে যুক্তরাজ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রাম রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক গবেষণায় অগ্রণী, এবং অনেক ক্ষেত্রেই বৃত্তি বা গবেষণা অনুদানের ব্যবস্থা থাকে। ইসলামিক স্কলারশিপ ট্রাস্ট, চিভনিং, বা বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক স্কলারশিপে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হতে পারেন।
ইসলামিক ইনস্টিটিউট ও স্পেশালাইজড ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ (Darul Uloom, ইসলামিক সেমিনারি)
বছরে প্রায় £২,০০০ – £৬,০০০
যুক্তরাজ্যে Darul Uloom বা ইসলামিক সেমিনারিগুলোতে হিফজ, আলিম কোর্স, এবং ইসলামিক জুরিসপ্রুডেন্স শেখানো হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি তুলনামূলকভাবে কম এবং অনেক সময় থাকার ও খাওয়ার সুবিধাও অন্তর্ভুক্ত থাকে। কিছু প্রতিষ্ঠান সরকার অনুমোদিত এবং শিক্ষার্থীরা সরকারি যোগ্যতা লাভ করতে পারেন।

- পড়াশোনা করুন
যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য উপলব্ধ স্কলারশিপসমূহ
বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা যারা ইসলামিক স্টাডিজ, শরিয়া, আরবি ভাষা বা আধুনিক শিক্ষাক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে চান, তাদের জন্য যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিম্নলিখিত স্কলারশিপ ও সুযোগ-সুবিধা রয়েছে:
1. Chevening Scholarships (UK Government)
যুক্তরাজ্য সরকারের পূর্ণ স্কলারশিপ প্রোগ্রাম যা বিশ্বের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরি করতে চায়। মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য এটি টিউশন ফি, যাতায়াত, আবাসন ও মাসিক ভাতা সম্পূর্ণ কভার করে। ইসলামিক স্টাডিজ, আইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রযোজ্য।
2. Commonwealth Scholarships
কমনওয়েলথভুক্ত দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যে মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের জন্য স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। এটি পূর্ণ টিউশন, যাতায়াত খরচ, এবং জীবিকা সহায়তা প্রদান করে। ইসলামিক স্টাডিজ ও সমাজবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ের জন্য উপযোগী।
3. The University of Edinburgh – Islamic and Middle Eastern Studies Scholarships
ইসলামিক স্টাডিজ বা মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে স্কলারশিপ। আংশিক অথবা পূর্ণ টিউশন ফি ছাড় এবং গবেষণা সহায়তা অন্তর্ভুক্ত।
4. Markfield Institute of Higher Education Scholarships
Markfield Institute, যেটি ইসলামিক স্টাডিজ ও শরিয়া বিষয়ে বিশেষায়িত, মেধাভিত্তিক স্কলারশিপ প্রদান করে। আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য ফি ছাড়, আবাসন সহায়তা এবং বিশেষ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
5. Oxford Centre for Islamic Studies (OCIS) Scholarships
Oxford University-তে ইসলামিক স্টাডিজ পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য Chevening ও OCIS-এর যৌথ স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। পূর্ণ টিউশন, ভাতা এবং গবেষণা সহায়তা অন্তর্ভুক্ত। মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত একটি সুযোগ।
6. SOAS University of London Scholarships
SOAS-এ ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি ভাষা, ইতিহাস ও ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপ রয়েছে। টিউশন ফি ছাড়, আংশিক ভাতা বা পূর্ণ স্কলারশিপ পাওয়া যায়।
7. Gates Cambridge Scholarships
যদিও এটি মূলত যেকোনো বিষয়ে পিএইচডি অধ্যয়নরতদের জন্য, ইসলামিক স্টাডিজ বা ধর্মতত্ত্ব নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সম্পূর্ণ অর্থায়নে স্কলারশিপ, যার মধ্যে টিউশন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা অন্তর্ভুক্ত।
8. Clarendon Fund Scholarships – University of Oxford
এই স্কলারশিপ Oxford University-এর যেকোনো পূর্ণকালীন কোর্সে দেওয়া হয়। ইসলামিক স্টাডিজসহ অন্যান্য বিষয়ে পিএইচডি ও মাস্টার্স স্তরে পুরো টিউশন ফি ও ভাতা প্রদান করে।
9. Durham University – Islamic Finance and Arabic Studies Scholarships
ইসলামিক ফাইন্যান্স, শরিয়া ও আরবি ভাষা বিষয়ে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য Durham University আংশিক অথবা পূর্ণ স্কলারশিপ অফার করে।
10. Birmingham University – Islamic Studies MA Scholarships
ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ। এটি মেধাভিত্তিক এবং আংশিক অথবা পূর্ণ ফান্ডেড হতে পারে।
যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার জন্য ভিসার শ্রেণীবিভাগসমূহ

টিয়ার ৪ (সাধারণ) স্টুডেন্ট ভিসা
এটি প্রধান ভিসা যারা যুক্তরাজ্যে পূর্ণকালীন উচ্চশিক্ষার জন্য আসেন তাদের জন্য

ছোটকালীন কোর্স স্টুডেন্ট ভিসা
যুক্তরাজ্যে ৬ মাস বা তার কম সময়ের শর্ট কোর্সে পড়াশোনা করার জন্য

পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা
যারা যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে শেষ করেছেন, তারা এই ভিসায় ২ বছর (ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড) বা ৩ বছর (উত্তর আয়ারল্যান্ড) পর্যন্ত কাজ করতে পারেন

ভিসা আবেদনের চেকলিস্ট
বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ভিসা (Student Route) আবেদন চেকলিস্ট:
১. অনলাইন আবেদন ফর্ম (Student Visa Application Form)
আপনাকে UKVI (UK Visas and Immigration) ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। আবেদন শেষে একটি আবেদন রেফারেন্স নম্বর (GWF Number) পাওয়া যাবে।
২. পাসপোর্ট
বর্তমান বৈধ পাসপোর্ট, যা যুক্তরাজ্যে থাকার পরিকল্পিত সময় শেষে অন্তত ছয় মাস মেয়াদি হতে হবে। আগের পাসপোর্ট (যদি থাকে) জমা দেওয়া উত্তম।
৩. CAS (Confirmation of Acceptance for Studies)
যুক্তরাজ্যের কোনো স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (Sponsor Licensed Institution) থেকে প্রদত্ত CAS নম্বর – এটি হলো ভিসা আবেদনের মূল ভিত্তি।
৪. মাদ্রাসা সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট
দাওরায়ে হাদীস বা সমমানের সার্টিফিকেট, বাংলা ও ইংরেজিতে অনুবাদসহ
অর্নাস/সমমানের অন্যান্য ফলাফল
বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত ইংরেজি অনুবাদ থাকা বাধ্যতামূলক
৫. ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ
IELTS for UKVI Academic / SELT (Secure English Language Test)
অথবা প্রাসঙ্গিক exemption ডকুমেন্ট (যদি আপনি এমন প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছেন যেখানে IELTS লাগবে না)
৬. আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ (Bank Statement)
বিশ্ববিদ্যালয় ও শহরভেদে নির্ধারিত টিউশন ফি + ৯ মাসের জীবিকা খরচ
এই অর্থ ২৮ দিন ধরে ব্যাংকে থাকতে হবে এবং স্টেটমেন্ট ৩১ দিনের মধ্যে ইস্যু হতে হবে
উদাহরণ: লন্ডনের বাইরে হলে জীবিকা খরচ ধরা হয় £9,207 (প্রায় ১৩ লাখ টাকা) + প্রথম বছরের বাকি টিউশন ফি
৭. TB টেস্ট সার্টিফিকেট
IOM (International Organization for Migration) কর্তৃক পরিচালিত টিউবারকুলোসিস টেস্টের রিপোর্ট
টেস্ট সার্টিফিকেট ছাড়া ভিসা আবেদন সম্ভব নয়
৮. ভিসা ফি এবং IHS ফি পেমেন্ট রসিদ
Student Visa Fee: প্রায় £490
IHS (Immigration Health Surcharge): £776 প্রতি বছর (সাধারণত ২ বছরের কোর্সে মোট £1,552)
৯. ভর্তি পত্র / অফার লেটার
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক দেওয়া অফার লেটার (CAS ইস্যুর পূর্ববর্তী ধাপ হিসেবে)
১০. আবাসনের প্রমাণ (ঐচ্ছিক হলেও সহায়ক)
বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল বুকিং কনফার্মেশন
ভাড়া চুক্তি বা স্পন্সর পরিবার থাকলে আমন্ত্রণপত্র
১১. পাসপোর্ট সাইজের ছবি
বর্তমান ফরম্যাট অনুযায়ী ছবি (অনলাইন আবেদনের সময় ডিজিটাল ছবি আপলোড করতে হয়)
১২. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
বাংলাদেশ পুলিশের দ্বারা ইস্যুকৃত সদাচরণ সনদ
ইংরেজিতে অনুবাদ এবং প্রমাণপত্রসহ জমা দিতে হবে
১৩. অভিভাবকের সম্মতি পত্র (যদি বয়স ১৮ এর নিচে হয়)
নোটারাইজড পারেন্টাল কনসেন্ট
ইংরেজিতে অনুবাদ করা আবশ্যক
১৪. স্কলারশিপ ডকুমেন্ট (যদি প্রযোজ্য হয়)
আপনি যদি কোন স্কলারশিপ পান, তবে এর অফিশিয়াল কনফার্মেশন চিঠি
১৫. আঙুলের ছাপ ও ছবি (Biometric Enrolment)
ভিএফএস (VFS Global) অফিসে উপস্থিত হয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করতে হবে

- পড়াশোনা করুন
যুক্তরাজ্য
পড়াশোনার পর চাকরি ও স্থায়ী বাসস্থান (PR) অর্জনের পথসমূহ
বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার পর চাকরি ও স্থায়ী বসবাসের পথসমূহ:
১. পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা (Graduate Route Visa):
যুক্তরাজ্য বর্তমানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য “Graduate Route” নামে পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা প্রদান করে, যা পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর ২ বছর (মাস্টার্সের ক্ষেত্রে) থেকে ৩ বছর (পিএইচডি বা ডক্টরেট কোর্সের জন্য) পর্যন্ত চাকরি করার সুযোগ দেয়।
২. চাকরির সুযোগ:
যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, ব্যবসা, ফাইন্যান্স, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সেবামূলক সেক্টরে চাকরির অনেক সুযোগ দেয়। ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা জরুরি, এবং বিভিন্ন শহরে যেমন লন্ডন, ম্যানচেস্টার, বার্মিংহাম, কেমব্রিজে উচ্চমানের কাজের সুযোগ রয়েছে।
৩. ওয়ার্ক পারমিট (Skilled Worker Visa):
পোস্ট-স্টাডি ভিসার মেয়াদ শেষ হলে আপনি যুক্তরাজ্যের স্কিলড ওয়ার্কার ভিসায় আবেদন করতে পারেন, যা দীর্ঘমেয়াদি কাজ ও থাকার অনুমতি দেয়।
এর জন্য আপনাকে যুক্তরাজ্যের লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চাকরির অফার থাকতে হবে।
চাকরির পদমর্যাদা এবং বেতন UK Home Office এর নির্ধারিত মান পূরণ করতে হবে।
ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ আবশ্যক।
৪. স্থায়ী বসবাস (Indefinite Leave to Remain – ILR):
যুক্তরাজ্যে ৫ বছর বৈধভাবে বসবাস ও কাজ করার পর ILR এর জন্য আবেদন করা যায়। ILR পাওয়ার পর আপনি যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজ করার অধিকার পাবেন এবং নাগরিকত্বের জন্যও যোগ্য হবেন।
৫. যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব:
ILR প্রাপ্তির পর কমপক্ষে ১২ মাস যুক্তরাজ্যে থাকার পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এর জন্য ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা, ব্রিটিশ ইতিহাস ও সমাজ সম্পর্কে জ্ঞান প্রমাণ করতে হয় (Life in the UK Test)।
সৎাচরণ, আর্থিক স্থিতিশীলতা ও অপরাধমুক্ত রেকর্ড থাকতে হবে।

- পড়াশোনা করুন
যুক্তরাজ্য
প্রক্রিয়ার সময় আমাদের সহায়তা
বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা এবং বসবাসের প্রতিটি ধাপে আমরা আপনার সাথে আছি — প্রথম পরামর্শ থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস পর্যন্ত, যাতে আপনার যাত্রা হয় সহজ, তথ্যসমৃদ্ধ এবং সফল।
প্রতিটি ধাপে ব্যক্তিগত পরামর্শ — আমরা আপনার একাডেমিক লক্ষ্য, আর্থিক অবস্থা এবং ব্যক্তিগত পছন্দ বুঝে যুক্তরাজ্যের সর্বোত্তম শিক্ষার বিকল্পগুলো খুঁজে বের করতে সহায়তা করি।
ভর্তি, ভিসা এবং যাত্রার জন্য একান্ত সহায়তা — বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন, নথিপত্র প্রস্তুতি, শিক্ষার্থী ভিসা আবেদন এবং যুক্তরাজ্যে যাত্রার প্রস্তুতিতে নিবেদিত সহায়তা প্রদান করা হয়।
সর্বদা যোগাযোগে সহজলভ্য — কল, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমেইল বা ব্যক্তিগতভাবে যেকোনো মাধ্যমে আমাদের সাথে সহজে যোগাযোগ করুন।
নিয়মিত আপডেট, সময়মতো রিমাইন্ডার এবং নথি পর্যালোচনা — সময়মতো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও ডেডলাইন মনে করিয়ে দেওয়া এবং আপনার আবেদনপত্রের নথি বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পর্যালোচনা করা হয় যাতে কোনো ভুল বা দেরি না হয়।
যুক্তরাজ্যে আগমনের পর চেক-ইন এবং অ্যালামনি মেন্টরিং — আপনার যুক্তরাজ্যে আগমনের পরও আমরা সমর্থন জারি রাখি এবং আপনাকে সফলভাবে বসবাস করা ছাত্র ও প্রাক্তন ছাত্রদের সঙ্গে যুক্ত করি।
চাকরি অনুসন্ধান ও স্থায়ী বসবাস পরিকল্পনায় সহায়তা — যুক্তরাজ্যের চাকরি ব্যবস্থা বুঝতে, সিভি/রিজিউমে তৈরিতে এবং পোস্ট-স্টাডি কাজ বা দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের অপশন সম্পর্কে ব্যক্তিগত পরামর্শ প্রদান করা হয়।