উন্নত শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের দেশ
পাকিস্তান
|
কেন পাকিস্তান?
পাকিস্তান মানসম্মত ও সাশ্রয়ী উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান করে, যেখানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ডিগ্রি পাওয়া যায়। দেশটি বহুসংস্কৃতির অধিকারী এবং ইংরেজি ভাষাভিত্তিক পরিবেশ, যা শিক্ষার্থীদের জীবনকে সমৃদ্ধ করে। এশিয়ার একটি কৌশলগত অবস্থানে অবস্থিত পাকিস্তান আধুনিক অবকাঠামো ও গতিশীল অর্থনীতির কারণে শিক্ষালাভ, পেশাগত নেটওয়ার্ক গঠন এবং ক্যারিয়ার বিকাশের জন্য চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি করে।

- পড়াশোনা করুন
পাকিস্তান
পাকিস্তানে শিক্ষাক্রমসমূহ
পাকিস্তানে বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা পর্যায়সমূহ
● প্রাথমিক শিক্ষা (বয়স ৬–১২ বছর)
এই স্তরে শিক্ষার্থীরা ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান এবং নৈতিক শিক্ষার ওপর ভিত্তি গড়ে তোলে। পাকিস্তানে সরকারি, বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক স্কুলের বিকল্প রয়েছে, যেগুলো আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষার সমন্বয় প্রদান করে।
● মাধ্যমিক শিক্ষা (বয়স ১৩–১৭ বছর)
এতে নিম্ন ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় অন্তর্ভুক্ত থাকে। জাতীয় শিক্ষাক্রম (যেমন SSC, Matriculation) ও আন্তর্জাতিক বিকল্প (যেমন O-Level, IGCSE, IB) পাওয়া যায়। উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীরা বিশেষায়িত বিষয় বেছে নিতে পারে।
● প্রি-ইউনিভার্সিটি / ফাউন্ডেশন (বয়স ১৭–১৯ বছর)
এই পর্যায়ে A-Levels, FSc, IB ডিপ্লোমা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম রয়েছে, যা স্নাতক পর্যায়ের পড়াশোনার জন্য প্রস্তুতি দেয়।
● ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম (সাধারণত ২–৩ বছর)
ব্যবসা, তথ্যপ্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং, আতিথেয়তা এবং ডিজাইনের মতো পেশাগত ও কারিগরি দক্ষতা অর্জনের জন্য উপযোগী প্রোগ্রাম।
● ব্যাচেলর ডিগ্রি (সাধারণত ৩–৪ বছর)
সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন বিষয় যেমন ইসলামিক স্টাডিজ, ব্যবসা, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও মানবিক বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ডুয়াল ডিগ্রি অপশনও থাকে।
● মাস্টার্স ডিগ্রি (১–২ বছর)
কোর্সওয়ার্ক, গবেষণা অথবা মিশ্র প্রোগ্রামে ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান, শিল্পকলা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে উচ্চতর শিক্ষা দেওয়া হয়।
● পিএইচডি / ডক্টরাল স্টাডিজ (৩–৫ বছর)
গবেষণাভিত্তিক প্রোগ্রাম যেখানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় নতুনত্ব ও উদ্ভাবনে, বিশেষত বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও সমাজবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে।

- পড়াশোনা করুন
পাকিস্তান
ধাপে ধাপে নির্দেশিকা
পাকিস্তানে বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য মালয়েশিয়ায় পড়াশোনার জন্য ধাপে ধাপে গাইড:
ধাপ ১: পড়াশোনার সুযোগ খুঁজে বের করুন
মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, ও স্কুল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করুন। আপনার একাডেমিক যোগ্যতা, ক্যারিয়ার লক্ষ্য এবং বাজেট অনুযায়ী উপযুক্ত প্রোগ্রাম বাছাই করুন। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া প্রতিষ্ঠান বা ডুয়াল ডিগ্রি অপশনের কথা বিবেচনা করুন।
ধাপ ২: প্রবেশের শর্তাবলী পরীক্ষা করুন
আপনার নির্বাচিত প্রোগ্রামের জন্য যোগ্যতার শর্তাবলী যাচাই করুন (যেমন একাডেমিক সার্টিফিকেট, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা – IELTS/TOEFL, ডিজাইন কোর্সের জন্য পোর্টফোলিও)। ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ করছেন কিনা নিশ্চিত হন।
ধাপ ৩: ভর্তি আবেদন করুন
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (ট্রান্সক্রিপ্ট, সনদপত্র, পাসপোর্টের কপি, ব্যক্তিগত বিবৃতি) প্রস্তুত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে বা অনুমোদিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আবেদন করুন।
ধাপ ৪: অফার লেটার নিশ্চিত করুন
ভর্তি হলে প্রতিষ্ঠান থেকে একটি অফার লেটার পাবেন। নির্দিষ্ট অগ্রিম ফি পরিশোধ করে অফার গ্রহণ করুন।
ধাপ ৫: স্টুডেন্ট পাস (ভিসা অনুমোদন লেটার – VAL) আবেদন করুন
সাধারণত প্রতিষ্ঠান EMGS (Education Malaysia Global Services)-এর মাধ্যমে আপনার পক্ষে ভিসা অনুমোদন লেটার (VAL) আবেদন করবে। মেডিকেল রিপোর্ট, পাসপোর্ট কপি, একাডেমিক কাগজপত্র জমা দিন।
ধাপ ৬: EMGS ফি পরিশোধ ও মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করুন
EMGS ফি পরিশোধ করুন এবং বাংলাদেশের অনুমোদিত ক্লিনিকে আগমনের পূর্বে মেডিকেল পরীক্ষা করান।
ধাপ ৭: সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসা আবেদন করুন
আপনার VAL নিয়ে মালয়েশিয়ার হাই কমিশনে (ঢাকায়) সিঙ্গেল-এন্ট্রি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করুন।
ধাপ ৮: মালয়েশিয়ায় যাত্রা করুন
ফ্লাইট বুক করুন। VAL, অফার লেটার, মেডিকেল রিপোর্ট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সঙ্গে নিন। পৌঁছালে প্রতিষ্ঠান স্টুডেন্ট পাসের কাজ সম্পন্ন করতে সাহায্য করবে।
ধাপ ৯: ওরিয়েন্টেশন ও বসবাস শুরু করুন
ওরিয়েন্টেশন সেশনে অংশ নিন, বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন, প্রয়োজনীয় সিম কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং পড়াশোনা শুরু করুন।

- পড়াশোনা করুন
পাকিস্তান
পাকিস্তানে বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য মালয়েশিয়ায় গড়ে টিউশন ফি:
প্রাথমিক বিদ্যালয়:
প্রতি বছর প্রায় USD ৩,০০০ – ১০,০০০ (সাধারণত আন্তর্জাতিক স্কুলে)
মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
প্রতি বছর প্রায় USD ৪,০০০ – ১২,০০০ (আন্তর্জাতিক স্কুলে, কারিকুলাম ও অবস্থানের ওপর নির্ভর করে)
ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম:
প্রতি বছর প্রায় USD ৩,০০০ – ৭,০০০
ব্যাচেলর ডিগ্রি:
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর প্রায় USD ৪,০০০ – ১০,০০০
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা আন্তর্জাতিক ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাসে প্রতি বছর প্রায় USD ৭,০০০ – ১৫,০০০
মাস্টার্স ডিগ্রি:
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর প্রায় USD ৪,০০০ – ৯,০০০
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর প্রায় USD ৭,০০০ – ১২,০০০
পিএইচডি:
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর প্রায় USD ৩,০০০ – ৭,০০০
(সাধারণত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় সমান)

- পড়াশোনা করুন
পাকিস্তান
পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ
পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু সাধারণ স্কলারশিপ ও শিক্ষাবৃত্তি পাওয়া যায়, তবে বিশেষভাবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য যে বড় পরিসরের স্কলারশিপ রয়েছে, তা খুব সীমিত বা প্রকাশ্যে নেই।
১. পাকিস্তান সরকারী স্কলারশিপসমূহ
হায়ার এডুকেশন কমিশন (HEC) স্কলারশিপ
পাকিস্তানের HEC মাঝে মাঝে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ দেয়, যা মূলত উচ্চশিক্ষার জন্য (স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পিএইচডি)। বাংলাদেশিরাও আবেদন করতে পারেন।পাকিস্তান টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম (PTAP)
এই প্রোগ্রামটি বাংলাদেশসহ মিত্র দেশগুলোর জন্য প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষায় স্কলারশিপ এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়।মন্ত্রণালয় অব রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স স্কলারশিপ
পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মাঝে মাঝে ইসলামী শিক্ষায় পড়াশোনা করতে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের (যাদের মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাও থাকতে পারেন) জন্য সীমিত স্কলারশিপ দেয়।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক স্কলারশিপ
পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় (যেমন: ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ইসলামাবাদ, ইউনিভার্সিটি অফ করাচি) বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য মেধা বা অর্থনৈতিক ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেয়। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামী স্টাডিজ বিভাগে কিছু বিশেষ সুযোগ থাকতে পারে।
৩. দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তি রয়েছে, যেখানে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু কোটা বা বৃত্তির সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।
পাকিস্তানের কিছু ইসলামি মাদ্রাসা ও ধর্মীয় সংস্থা বাংলাদেশ থেকে আসা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সাহায্য বা স্কলারশিপ দিয়ে থাকে।
পাকিস্তানে পড়াশোনার জন্য ভিসার শ্রেণীবিভাগসমূহ

স্টুডেন্ট ভিসা
পাকিস্তানের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফুল-টাইম পড়াশোনার জন্য এই ভিসা দেওয়া হয়

ইসলামিক রিলিজিয়াস এডুকেশন ভিসা
পাকিস্তানের স্বীকৃত মাদ্রাসা বা ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণের জন্য

শর্ট-টার্ম স্টাডি ভিসা
স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ, ভাষা কোর্স বা গবেষণার উদ্দেশ্যে কিছু সপ্তাহ বা মাসের জন্য এই ভিসা ইস্যু করা হয়

ভিসা আবেদনের চেকলিস্ট
🇵🇰 পাকিস্তানে ধর্মীয় শিক্ষা / মাদ্রাসা স্টুডেন্ট ভিসা চেকলিস্ট (বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য)
১. ভর্তি চিঠি (Offer/Acceptance Letter)
পাকিস্তানের অনুমোদিত মাদ্রাসা বা ইসলামিক ইনস্টিটিউট থেকে অফার লেটার (ভর্তির প্রমাণপত্র)।
২. ভিসা আবেদন ফরম
পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফরম (পাকিস্তান হাই কমিশনের নির্ধারিত ফরম)।
৩. পাসপোর্ট
কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদসহ বৈধ পাসপোর্ট। পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে তাও সংযুক্ত করতে হবে।
৪. পাসপোর্ট-সাইজ ছবি
সাম্প্রতিক তোলা ২-৪ কপি রঙিন ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড)।
৫. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
শেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও নম্বরপত্রের সত্যায়িত কপি (যদি মাদ্রাসা পর্যায়ে থাকে, তাহলে দাখিল/আলিম/ফাযিল ইত্যাদি)।
৬. মাদ্রাসা সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
নিজ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত ছাড়পত্র / অধ্যয়ন সনদ।
৭. পৃষ্ঠপোষকতার প্রমাণ
অর্থনৈতিক সহায়তা নিশ্চিত করতে ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্পনসর লেটার বা অভিভাবকের হলফনামা।
৮. নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট (NOC)
বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমতি (যদি প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বা সরকারি বৃত্তিপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে)।
৯. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে আবেদনকারীর নামে কোনো অভিযোগ নেই, এমন সার্টিফিকেট।
১০. মেডিকেল সার্টিফিকেট
স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট (যেমন: টিবি, হেপাটাইটিস বি, এইচআইভি পরীক্ষার রিপোর্ট) – বাংলাদেশ বা পাকিস্তান দূতাবাস অনুমোদিত ক্লিনিক থেকে সংগ্রহযোগ্য।
১১. ভিসা ফি প্রদানের রশিদ
নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ (পাকিস্তান হাই কমিশনের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়)।
১২. প্রথম বারের ভ্রমণ হলে
অভিভাবকের সম্মতিপত্র বা গার্ডিয়ানশিপ ডকুমেন্ট (বিশেষ করে নাবালকদের জন্য)।

- পড়াশোনা করুন
পাকিস্তান
পড়াশোনার পর চাকরি ও স্থায়ী বাসস্থান (PR) অর্জনের পথসমূহ
পাকিস্তানে মাদ্রাসা শিক্ষার পর চাকরি ও PR (স্থায়ী আবাসন) পথনির্দেশনা (বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য)
পড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগ
সাধারণত পাকিস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরি বাজার খুব সীমিত, বিশেষ করে যারা ধর্মীয়/মাদ্রাসা শিক্ষা গ্রহণ করেন।
ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণকারী ছাত্রদের জন্য চাকরি সুযোগ খুবই কম কারণ এ ধরনের শিক্ষার্থীরা সাধারণত ওয়ার্ক পারমিট পান না।
কিছু ক্ষেত্রে, ছাত্ররা ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা মসজিদে ধর্মীয় শিক্ষক বা ইমাম হিসেবে কাজ পেতে পারেন, তবে সেটিও নির্ভর করে প্রতিষ্ঠান ও অভ্যন্তরীণ নীতিমালার ওপর।
পাকিস্তানি নিয়োগদাতার স্পনসরশিপ ছাড়া ওয়ার্ক ভিসা পাওয়া খুব কঠিন।
যদি চাকরি মেলে, তবে আবেদনকারীকে পাকিস্তানের Interior Ministry এবং Immigration Department থেকে অনুমোদন নিতে হয়।
স্থায়ী আবাসন (PR) পথনির্দেশনা
পাকিস্তানে শিক্ষার পর সরাসরি PR (Permanent Residency) পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সাধারণত PR পাওয়ার জন্য দরকার হয়—
৫+ বছর ধরে বৈধভাবে বসবাস ও কাজ করা,
বিশেষ দক্ষতা/অবদান (যেমন: ইসলামিক স্কলার, হাফেজ, শিক্ষক),
অথবা পাকিস্তানি নাগরিকের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক।
PR আবেদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত কঠিন ও কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে বিচার করা হয়।
বিদেশি ধর্মীয় শিক্ষার্থীরা খুব কম সংখ্যায় PR পান, এবং তাদের ক্ষেত্রে এটা ব্যতিক্রমী অবস্থা হিসেবেই ধরা হয়।

- পড়াশোনা করুন
পাকিস্তান
প্রক্রিয়ার সময় আমাদের সহায়তা
আমরা আছি আপনার সঙ্গে, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত —
বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পাকিস্তানে পড়াশোনার প্রতিটি ধাপে নির্ভরযোগ্য সহযোগিতা।
ব্যক্তিগত পরামর্শ প্রতিটি ধাপে
আপনার শিক্ষাগত লক্ষ্য, আর্থিক অবস্থা ও ব্যক্তিগত পছন্দগুলো বিবেচনায় নিয়ে আপনাকে সবচেয়ে উপযোগী শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ দেওয়া হয়।
ভর্তি, ভিসা ও যাত্রার জন্য এক-একজন পরামর্শদাতা
বিশ্ববিদ্যালয় বা মাদ্রাসায় আবেদন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত, ভিসার জন্য আবেদন এবং পাকিস্তানে যাত্রার ব্যবস্থায় সরাসরি সহায়তা।
সহজে যোগাযোগযোগ্য
ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমেইল বা সরাসরি অফিসে এসে — যেভাবে আপনার সুবিধা হয়, সেভাবেই আমরা আপনাকে সহায়তা করি।
নিয়মিত আপডেট, স্মরণ করিয়ে দেওয়া ও ডকুমেন্ট যাচাই
সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় সময়সীমা মনে করিয়ে দেওয়া, কাগজপত্র যাচাই এবং সর্বশেষ তথ্য প্রদান।
পাকিস্তানে পৌঁছানোর পরও সহযোগিতা
পাকিস্তানে যাওয়ার পরও আমরা সংযুক্ত থাকি — প্রয়োজনে সহায়তা করি, এবং আগেই যাওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আপনাকে যুক্ত করি যাতে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারেন।
চাকরির খোঁজ ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় সহায়তা
পড়াশোনার পর পাকিস্তানে থাকা বা চাকরি করার ইচ্ছা থাকলে, সিভি তৈরি, কাজের সুযোগ খোঁজা এবং সম্ভাব্য স্থায়ী আবাসনের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান।