ইতিহাস, শিয়া ঐতিহ্য ও ধর্মীয় শিক্ষার কেন্দ্র
ইরাক |

কেন ইরাক?

ইরাকে উচ্চশিক্ষা মানেই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, আধুনিক ক্যাম্পাস, এবং নতুন ধারার শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ। এখানে অবস্থিত বেশ কয়েকটি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় (যেমন – বাহর আল-উলুম ইউনিভার্সিটি, আল-মুস্তানসিরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ইউনিভার্সিটি) ইসলামী শিক্ষা সহ আধুনিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আইন, ও অর্থনীতির ওপর উচ্চমানের প্রোগ্রাম অফার করে।

ইরাকে রয়েছে একটি নিরাপদ ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর পরিবেশ, যেখানে ইসলামী মূল্যবোধকে সম্মান করা হয়। মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপযোগী, কারণ তারা এখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে এবং একসঙ্গে আধুনিক শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পায়।

ছাত্রজীবন এখানে অত্যন্ত সক্রিয় — আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক গড়া, ক্যারিয়ার ওয়ার্কশপে অংশ নেওয়া, এবং বিভিন্ন ইসলামিক বা একাডেমিক সংগঠনের মাধ্যমে নিজের পরিচয় গড়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

পড়াশোনা শেষে ইরাকে কর্মসংস্থানের ভালো সম্ভাবনা থাকে, বিশেষ করে শিক্ষা, ধর্মীয় গবেষণা, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, এবং ব্যবসায় প্রশাসনের ক্ষেত্রে। উপরন্তু, ইরাকের জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী দক্ষ প্রফেশনালদের চাহিদা বাড়ছে, যা বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি ভবিষ্যতমুখী সিদ্ধান্ত করে তোলে।

ইরাক

ইরাকের শিক্ষাক্রমসমূহ

ইরাকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা পর্যায়সমূহ

● প্রাথমিক শিক্ষা (বয়স ৬–১২ বছর)
এই স্তরে শিক্ষার্থীরা আরবি, ইংরেজি, গণিত, ইসলামিক শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষায় ভিত্তি গড়ে তোলে। ইরাকে স্থানীয় মাদ্রাসাভিত্তিক স্কুল ছাড়াও কিছু আন্তর্জাতিক ও আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে আধুনিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং ভাষা শিক্ষা প্রদান করা হয়।

● মাধ্যমিক শিক্ষা (বয়স ১২–১৮ বছর)
এই ধাপে শিক্ষার্থীরা নিম্ন ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করে। ইরাকে কিছু মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ইসলামিক স্টাডিজের পাশাপাশি আধুনিক আন্তর্জাতিক সনদপত্র যেমন IGCSE, A-Level, অথবা স্থানীয় উচ্চ মাধ্যমিক ডিগ্রি অর্জনে মনোযোগ দিতে পারে।

● ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম
টেকনিক্যাল বা ভোকেশনাল ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম যেমন ব্যবসা, তথ্যপ্রযুক্তি, ইসলামী অর্থনীতি ও প্রশাসন, এবং ইঞ্জিনিয়ারিং-এ সুযোগ রয়েছে, যা চাকরির উপযোগী দক্ষতা তৈরি করে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা পেশাগত দক্ষতা অর্জনের জন্য এগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারে।

● ব্যাচেলর ডিগ্রি (স্নাতক)
ইরাকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ব্যবসা, ইঞ্জিনিয়ারিং, মিডিয়া, ইসলামিক স্টাডিজ, এবং স্বাস্থ্যবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এই প্রোগ্রামগুলো সাধারণত ৩–৪ বছর মেয়াদি হয়। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ইসলামিক ফ্যাকাল্টিসহ অন্যান্য বিষয়ে পছন্দমতো বিষয় বেছে নিতে পারে।

● মাস্টার্স ডিগ্রি (স্নাতকোত্তর)
১–২ বছর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলো উচ্চতর একাডেমিক বা পেশাগত দক্ষতার দিকে মনোনিবেশ করে। MBA, ইসলামিক স্টাডিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং, তথ্যপ্রযুক্তি, ও স্বাস্থ্যসেবার মতো ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে, যা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আধুনিক কর্মজীবনে সংযুক্ত করতে সহায়তা করে।

● পিএইচডি / ডক্টরাল স্টাডিজ
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইসলামিক স্টাডিজ, ব্যবসা, এবং মানবিক শাস্ত্রের মতো ক্ষেত্রে উন্নত গবেষণাভিত্তিক ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ইরাকে গবেষণার মাধ্যমে দেশীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে মিল রেখে উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

Colorful aerial shot of Dubai Miracle Garden showcasing airplane made of flowers.

ইরাক

ধাপে ধাপে নির্দেশিকা

ইরাকে পড়াশোনার পরিকল্পনায় বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য ধাপে ধাপে নির্দেশনা:

ধাপ ১: কোর্স ও প্রতিষ্ঠানের খোঁজ করা
আপনার একাডেমিক পটভূমি, ক্যারিয়ার লক্ষ্য ও বাজেট অনুযায়ী ইরাকের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা ইসলামিক ইনস্টিটিউট বেছে নিন। ইসলামিক স্টাডিজ, শরিয়াহ, ফিকহ, হাদীস, তাফসির, আরবি ভাষা ও অন্যান্য আধুনিক বিষয়ে কোর্স রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বীকৃতি, র‍্যাংকিং, এবং শিক্ষা মান বিবেচনায় নিন।

ধাপ ২: ভর্তির যোগ্যতা যাচাই করা
নির্বাচিত কোর্সের একাডেমিক যোগ্যতা, আরবি ভাষার দক্ষতা (বিশেষ করে ইসলামিক বিষয়গুলোর জন্য), ইংরেজি দক্ষতা (যদি প্রয়োজন হয়), এবং অন্যান্য বিশেষ শর্ত (যেমন পোর্টফোলিও বা রেফারেন্স) সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

ধাপ ৩: আবেদন করা
নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফর্ম পূরণ করুন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • একাডেমিক সনদ ও নম্বরপত্র

  • পাসপোর্ট কপি

  • ভাষা পরীক্ষার স্কোর (যদি প্রযোজ্য হয়)

  • সুপারিশপত্র ও উদ্দেশ্যপত্র (Statement of Purpose)

ধাপ ৪: ভর্তির অফার নিশ্চিত করা
আবেদনের পর আপনি একটি শর্তযুক্ত (Conditional) বা শর্তহীন (Unconditional) অফার লেটার পাবেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অফার গ্রহণ করুন এবং টিউশন ফি’র নির্দিষ্ট অংশ পরিশোধ করে আসন সংরক্ষণ করুন।

ধাপ ৫: স্বাস্থ্যবীমা করা
ইরাকে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যবীমা বাধ্যতামূলক করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বা নিজে আলাদাভাবে স্বাস্থ্যবীমা করে নিন।

ধাপ ৬: স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করা
সাধারণত ইরাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভিসার জন্য স্পনসর করে থাকে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • ভর্তি নিশ্চিতকরণ চিঠি

  • বৈধ পাসপোর্ট

  • মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট

  • আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ

  • ভিসা ফি

ধাপ ৭: ভ্রমণের পরিকল্পনা করা
ফ্লাইট বুক করুন, থাকার ব্যবস্থা (বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন বা প্রাইভেট বাসস্থান) নিশ্চিত করুন এবং ভ্রমণ ও প্রাথমিক বসবাসের প্রস্তুতি নিন:

  • আন্তর্জাতিক সিম কার্ড

  • স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার প্রস্তুতি

  • জরুরি যোগাযোগের তালিকা

ধাপ ৮: ইরাকে পৌঁছে অরিয়েন্টেশনে অংশগ্রহণ করা
ইরাকে পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অরিয়েন্টেশন সেশনে অংশ নিন, যাতে ক্যাম্পাস, শিক্ষাব্যবস্থা, নিয়মকানুন এবং সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন।

Stunning exterior shot of Sheikh Zayed Mosque with its iconic domes and minarets against a clear blue sky.

ইরাক

ইরাকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য গড় টিউশন ফি

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল
• প্রতি বছর USD 1,000 – USD 5,000
(ইরাকের স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক কারিকুলাম অনুসারে ভিন্ন হতে পারে)

ডিপ্লোমা / ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম
• প্রতি বছর USD 1,500 – USD 4,000

স্নাতক (Bachelor’s) ডিগ্রি
• প্রতি বছর USD 2,000 – USD 6,000
(বিশেষ করে ইসলামিক স্টাডিজ, শরিয়াহ, আরবি ভাষা বা তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে এই ফি প্রযোজ্য; মেডিকেল বা ইঞ্জিনিয়ারিং-এ তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে)

মাস্টার্স (Master’s) ডিগ্রি
• প্রতি বছর USD 2,500 – USD 7,000

ডক্টরেট / পিএইচডি প্রোগ্রাম
• প্রতি বছর USD 2,000 – USD 5,000
(অনেক ক্ষেত্রেই ইসলামিক গবেষণায় সরকারি স্কলারশিপ বা ওয়াকফ ফান্ডে পড়াশোনা করা যায়)

বিশেষ নোট:

  • অনেক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে Al-Mustafa International University, University of Baghdad, বা Al-Kufa University-এর ইসলামিক বিভাগে বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা আংশিক বা পূর্ণ স্কলারশিপ পেতে পারেন।

  • আরবি ভাষায় দক্ষতা থাকলে টিউশন ফি কম বা স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

downtown, dubai, uae, tourism, city, people, buildings, burqa, girls, arab, shopping, center, dubai, dubai, dubai, dubai, dubai

ইরাক

ইরাকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য উপলব্ধ স্কলারশিপসমূহ

১. আল-মুস্তাফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (Najaf/Baghdad শাখা)
• পূর্ণ স্কলারশিপ: টিউশন ফি, আবাসন, খাবার, স্বাস্থ্যসেবা এবং মাসিক ভাতা
• ইসলামিক স্টাডিজ, ফিকহ, উসুল, কালাম ও দাওয়াহ বিষয়ে স্নাতক, মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রাম
• ভর্তির জন্য আরবি ভাষায় মৌলিক দক্ষতা ও ইসলামি জ্ঞান থাকা প্রয়োজন
• বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য

২. University of Baghdad – College of Islamic Sciences
• সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় – কিছু ক্ষেত্রে স্কলারশিপ অথবা ফি মওকুফের সুযোগ
• শরিয়াহ, তাফসির, হাদীস, ইসলামি ইতিহাস ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে কোর্স
• আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন ও আর্থিক সহায়তা সুবিধা সীমিত আকারে রয়েছে

৩. Al-Kufa University – Faculty of Jurisprudence (Fiqh)
• ইরাকি সরকার অনুমোদিত ইসলামিক ফ্যাকাল্টি
• নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ, বিশেষত আরবি ভাষায় দক্ষদের জন্য
• সুফিবাদ, আইন, ফিকহ ও ঐতিহাসিক ইসলামি চর্চায় গবেষণার সুযোগ

৪. ইরাকের আওকাফ ও ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় স্কলারশিপ
• ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে শরিয়াহ ও কুরআনিক সায়েন্স পড়ার সুযোগ
• টিউশন ফি, আবাসন ও মৌলিক খরচের জন্য সহায়তা
• কিছু স্কলারশিপ সরাসরি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ থাকে

৫. হাওজা ইলমিয়াহ স্কলারশিপ (Najaf ও Karbala)
• প্রাচীন ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থার অংশ, বিশেষত শিয়া ফিকহ ও তাফসির চর্চায়
• বাংলাদেশি ছাত্রদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পড়াশোনা, আবাসন, খাবার ও মাসিক ভাতা
• আরবি ভাষায় পড়াশোনা ও গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা পরিবেশ
• স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য ধর্মীয় জ্ঞান, ইখলাস ও শৃঙ্খলা গুরুত্বপূর্ণ

৬. ইসলামিক এনজিও ও ওয়াকফ ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ
• আর্থিকভাবে অক্ষম কিন্তু মেধাবী ছাত্রদের জন্য আর্থিক সহায়তা
• বিভিন্ন ইরাকি মাদ্রাসা বা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের সঙ্গে চুক্তি ভিত্তিক
• সেমিনার, গবেষণা প্রজেক্ট, ও ইসলামিক আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশগ্রহণের সুযোগ

uae, dubai, mall

ইরাকে পড়াশোনার জন্য ভিসার শ্রেণীবিভাগসমূহ

ছাত্র ভিসা – ধর্মীয় শিক্ষা

ইরাকের নাজাফ, কারবালা ইত্যাদি শহরের হাওযা ইলমিয়া বা ইসলামি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার জন্য এই ভিসা প্রদান করা হয়

শর্ট-টার্ম একাডেমিক বা ইসলামি কোর্স ভিসা

স্বল্পমেয়াদী ইসলামি কোর্স, গবেষণা বা স্কলারশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য এই ভিসা ব্যবহৃত হয়

শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ভিসা

ইসলামি রিপাবলিক অফ ইরাকের শিক্ষা ও ধর্মীয় মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত সংস্কৃতি বিনিময় বা শিক্ষা সহযোগিতার আওতায় কিছু ছাত্রভিসা ইস্যু হয়

Flat lay of travel essentials: maps, camera, compass, and travel journal for planning adventures.

ভিসা আবেদনের চেকলিস্ট

ইরাক স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন চেকলিস্ট (বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য)

বৈধ পাসপোর্ট
• ন্যূনতম ৬ মাস মেয়াদ বিশিষ্ট পাসপোর্ট
• বায়োডাটা পৃষ্ঠা এবং পূর্ববর্তী ভিসার কপি (যদি থাকে)

ভর্তি চিঠি বা অফার লেটার
• ইরাকের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা ইসলামিক ইনস্টিটিউট থেকে অফার লেটার

পাসপোর্ট সাইজ ছবি
• সাম্প্রতিক ছবি
• সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড
• ইরাকি ভিসা স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী

ভিসা আবেদন ফরম
• পূর্ণাঙ্গভাবে পূরণকৃত ও স্বাক্ষরিত ফরম
• সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রোগ্রাম স্পন্সর সরবরাহ করে

টিউশন ফি প্রদানের প্রমাণ
• ব্যাংক পেমেন্ট রিসিট বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেমেন্ট কনফার্মেশন লেটার

ব্যাংক স্টেটমেন্ট / আর্থিক সাপোর্টের প্রমাণ
• নিজস্ব বা স্পন্সরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
• টিউশন, আবাসন ও অন্যান্য ব্যয়ের সক্ষমতার প্রমাণ

স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদপত্র
• অনুমোদিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মেডিকেল রিপোর্ট
• টিবি ও অন্যান্য সংক্রামক রোগ নিরীক্ষার রিপোর্ট

আবাসনের প্রমাণ
• বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেল বুকিং
• অথবা বাসা ভাড়া চুক্তিপত্র / আমন্ত্রকের কাছ থেকে ইনভাইটেশন লেটার

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (PCC)
• বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক প্রদানকৃত
• ইংরেজি অনুবাদসহ

অভিভাবকের সম্মতি (১৮ বছরের কম হলে)
• পিতা-মাতা বা অভিভাবকের নোটারাইজড কনসেন্ট লেটার
• পাসপোর্ট কপি সংযুক্ত

ভিসা ফি জমাদানের রসিদ
• ইরাক দূতাবাস বা কনস্যুলেটের নির্দেশনা অনুযায়ী জমা দেওয়া ফি’র রশিদ

ইরাক

পড়াশোনার পর চাকরি ও স্থায়ী বাসস্থান (PR) অর্জনের পথসমূহ

ইরাকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার পর কাজের সুযোগ (বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাসঙ্গিক)

কাজের সন্ধান ও কাজের অনুমতি

● কাজের সন্ধান ভিসা বা রেসিডেন্স পারমিটের সম্প্রসারণ
ইরাকে পড়াশোনা শেষ করার পর সরাসরি কোনো “কাজের সন্ধান ভিসা” নেই, তবে কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা রেসিডেন্স পারমিটের সময়সীমা বাড়িয়ে কাজ খোঁজার সুযোগ পেতে পারেন। স্থানীয় নিয়োগদাতাদের মাধ্যমে অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এমন সুযোগ তৈরি হতে পারে।

● মূল কর্মক্ষেত্রসমূহ
বিশেষ করে ইসলামি শিক্ষার পটভূমি থাকায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্র খুবই উপযোগী:

  • ইসলামিক স্টাডিজ, ফিকহ, শরিয়াহ

  • হিফজ ও কিরআত শিক্ষাদান

  • আরবি ভাষা শিক্ষা ও অনুবাদ

  • ইসলামিক গবেষণা ও দাওয়াহ কেন্দ্রসমূহে কাজ

  • মসজিদ বা ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইমাম, খতিব বা শিক্ষক পদ

  • দাতব্য সংস্থা, এনজিও এবং ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা

  • মিডিয়া ও প্রকাশনায় ইসলামিক কনটেন্ট লেখালেখি ও সম্পাদনা

● কাজের পারমিট
ইরাকে কাজ করতে হলে বৈধ চাকরিদাতার কাছ থেকে কাজের অফার পাওয়া আবশ্যক। এরপর সংশ্লিষ্ট নিয়োগদাতা কর্মসংস্থানের অনুমতির জন্য আবেদন করবেন। ইরাকে কাজের পারমিট তুলনামূলকভাবে কম গঠনমূলক, তবে ধর্মীয় খাতে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদী বসবাস ও স্থায়ী বাসস্থান

● ধর্মীয় রেসিডেন্স পারমিট (Religious Residency)
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মসজিদ বা ইসলামি কেন্দ্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকলে অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদী ধর্মীয় রেসিডেন্স পারমিট পাওয়া যেতে পারে। তবে এটি সীমিত এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের রিকমেন্ডেশন আবশ্যক।

● কর্মসংস্থানভিত্তিক রেসিডেন্স
নিয়মিত চাকরি পাওয়া গেলে এবং কাজের অনুমতি থাকলে ইরাকে দীর্ঘমেয়াদী বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায়। যদিও পশ্চিমা দেশের মতো PR বা স্থায়ী বসবাসের আলাদা কাঠামো নেই, তবে কর্মসংস্থানের মেয়াদ বাড়ালে দীর্ঘ সময় থাকা সম্ভব।

● বিনিয়োগকারী ও ব্যবসা ভিসা
যদি কেউ ইরাকে বৈধভাবে ব্যবসা স্থাপন করেন বা বিনিয়োগ করেন, তবে রেসিডেন্স পারমিট পাওয়া যায়। তবে এই পথ শিক্ষার্থীদের জন্য তুলনামূলকভাবে কঠিন।

নাগরিকত্ব (Citizenship)
ইরাকে বিদেশিদের জন্য নাগরিকত্ব প্রাপ্তি খুবই কঠিন এবং সাধারণভাবে দেওয়া হয় না। বিশেষ ক্ষেত্রে, দীর্ঘমেয়াদী বসবাস, আরবি ভাষায় দক্ষতা, স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা, এবং সরকারের বিশেষ অনুমোদনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব মিলতে পারে, তবে তা অত্যন্ত বিরল।

color, dark, night, sky, little boom, gothenburg, nature, port, water, night sky, channel, sweden

ইরাক

প্রক্রিয়ার সময় আমাদের সহায়তা

ইরাকে পড়াশোনা করতে আগ্রহী বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা আপনার পাশে আছি — প্রথম পরামর্শ থেকে শুরু করে ইরাকে নতুন জীবনে প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত, একটি স্ট্রেস-মুক্ত, সুশিক্ষিত ও সফল যাত্রা নিশ্চিত করার জন্য।

প্রতিটি ধাপে ব্যক্তিগত পরামর্শ — আমরা আপনার ধর্মীয় ও একাডেমিক লক্ষ্য, আর্থিক সামর্থ্য এবং ব্যক্তিগত আগ্রহগুলো বোঝার জন্য সময় নিই, যাতে আপনাকে ইরাকের ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উপযুক্ত বিকল্প খুঁজে দিতে পারি।

ভর্তি, ভিসা ও যাত্রার জন্য একান্ত সহায়তা — হাওজা, বিশ্ববিদ্যালয় বা ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্রে আবেদন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুতকরণ, শিক্ষার্থী ভিসা আবেদন এবং ইরাকে যাত্রার প্রতিটি ধাপে আমরা আপনাকে নিবেদিত সহায়তা দিয়ে থাকি।

সর্বদা যোগাযোগে আছি — ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমেইল কিংবা সরাসরি — আপনি যেভাবে চাইবেন, আমরা আপনাকে সাড়া দিয়ে সহায়তা করব, যেন আপনি কোনো ধাপে একা না থাকেন।

নিয়মিত আপডেট, সময়সীমার সতর্কবার্তা ও কাগজপত্র পর্যালোচনা — সময়মতো প্রয়োজনীয় তথ্য, গুরুত্বপূর্ণ ডেডলাইন ও ভিসা-ভর্তির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমরা নিশ্চিত করি যেন আপনি সঠিক পথে এগিয়ে যান।

আগমনের পর সহায়তা ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মেন্টরিং — ইরাকে পৌঁছানোর পরও আমাদের সহায়তা বন্ধ হয় না। আমরা স্থানীয় সহায়তা, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরামর্শ এবং প্রাথমিক অভ্যস্ত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে থাকি।

চাকরি অনুসন্ধান ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় সহায়তা — ইসলামি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জনের পর ইরাক বা অন্যান্য দেশে চাকরির সম্ভাবনা, সিভি প্রস্তুতি, গবেষণা বা দাওয়াহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের পথনির্দেশনা এবং স্থায়ী বসবাস নিয়ে পরিকল্পনায় আপনাকে সহায়তা করি, এমনকি আপনার পড়াশোনা শেষ হওয়ার পরেও।

Stunning view of Dubai Marina's iconic skyline with high-rise skyscrapers and calm waterfront.
Facebook
X (Twitter)
YouTube
LinkedIn
Instagram